জাতীয় দলের প্রতি নিবেদনের প্রশ্নে আলোচনায় ছিলেন কিলিয়ান এমবাপ্পের। এর ওপর উঠেছে ফ্রান্সের হয়ে খেলা বাদ দিয়ে নৈশক্লাবে মত্ত থাকার অভিযোগ। তবে, এসব বিতর্কে এমবাপ্পের ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছেন সতীর্থরা। তিলকে তাল বানানোয় সংবাদমাধ্যমকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন তারা।
রিয়াল মাদ্রিদে সময় গত মাসে পেশির চোটে পড়েন এমবাপ্পে। যতটা সময় তাকে বাইরে থাকতে হবে বলে ধারণা করা হচ্ছিল, এর আগেই মাঠে ফেরেন তিনি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও লা লিগার ম্যাচে রিয়ালের হয়ে মাঠে নামেন।
অথচ এর আগেই তাকে জাতীয় দলের বাইরে রাখেন ফ্রান্সের কোচ দিদিয়ের দেশম। প্রস্তুতির ঘাটতি ও পুরোপুরি সেরে ওঠার জন্য নেশন্স লিগে ইসরায়েল ও বেলজিয়ামের বিপক্ষে ম্যাচে এমবাপ্পেকে রাখেননি তিনি।
এ নিয়ে প্রবল হয় সমালোচনা। এমবাপ্পের বিরুদ্ধে দেশের চেয়ে ক্লাবকে বেশি প্রাধান্য দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এখন থেকে জাতীয় দলের হয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচগুলোয় খেলবেন বা বেছে বেছে ম্যাচ খেলবেন এমবাপে, এমন গুঞ্জনও চলছে।
এর মধ্যেই সুইডিশ সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয় যে, ইসরায়েলের সঙ্গে ফ্রান্সের ম্যাচের সময় এমবাপেকে সুইডেনের এক নৈশক্লাবে দেখা গেছে । এতে যেন সমালোচনার আগুনে ঘি পড়ে আরও।
শনিবার সংবাদ সম্মেলনে এমবাপের নৈশক্লাবে যাওয়ার প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হয় ভেসলে ফোফানাকে। জবাবে ফ্রান্সের এই ডিফেন্ডার বলেন, ফাঁকা সময়টায় যার যা ইচ্ছা, করতেই পারে। ব্যাপারটি (এমবাপ্পের নৈশক্লাবে থাকা) নিয়ে আজ আমাদের দলে কোনো কথাই হয়নি। আমি এসবের কিছুই শুনিনি।
সংবাদমাধ্যমের দিকে পাল্টা তির ছুড়ে চেলসির এই তরুণ ডিফেন্ডার বলেন, তার (এমবাপ্পে) যেটা ইচ্ছা সে করতেই পারে। সে দারুণ এক ছেলে এবং খুবই পেশাদার। আমরা কি ব্যাপারটাকে একটু বেশিই বড় করে দেখছি? জানি না…।
এমবাপ্পের ওপর প্রবল আস্থার কথা জানিয়ে আরেক সতীর্থ মিডফিল্ডার মাতেও গেন্দুজি বলেন, এমবাপ্পের দেশের প্রতি নিবেদন নিয়ে আমাদের কোনো প্রশ্ন নেই। সে দেশকে ভালোভাবে, আমাদের সহায়তা করেই যাবে সে। অন্য সব ব্যাপার নিয়ে বেশি কথা বলা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে আমাদের। সে ছুটিতে আছে। এই সময়ে যা খুশি করতেই পারে।
গত বৃহস্পতিবার ইসরায়েলকে ৪-১ গোলে হারায় ফ্রান্স। সোমবার পরের ম্যাচে বেলজিয়ামের বিপক্ষে লড়বে দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
বিডি প্রতিদিন/কেএ