পাকিস্তানের ক্রিকেটে নাম ভাঙিয়ে খেলে যাওয়ার দিন হয়তো সত্যিই শেষ হতে চলেছে। ধারাবাহিক ব্যর্থতার জন্য বাদ পড়তে চলেছেন বাবর আজম। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টে সম্ভবত খেলা হবে না পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়কের।
আগামী মঙ্গলবার থেকে শুরু হবে পাকিস্তান-ইংল্যান্ড দ্বিতীয় টেস্ট। প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে শান মাসুদেরা ৫৫৬ রান করার পরও ইনিংসের ব্যবধানে হেরেছেন। গত শুক্রবার হারের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স পর্যালোচনা করেন পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচকেরা। গতকাল শনিবারও বৈঠক করেন তারা।
দ্বিতীয় দিনের বৈঠকে ছিলেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যান মহসিন নকভি, কোচ জেসন গিলেসপি এবং অধিনায়ক মাসুদও।
পিসিবি সূত্রে খবর, পাকিস্তানের টেস্ট দলের কোচ গিলেসপিও বাবর আজমকে নিয়ে হতাশা গোপন করেননি। বাবরের ধারাবাহিক ব্যর্থতায় আগে থেকেই হতাশ ছিলেন কর্মকর্তারা। সব মিলিয়ে বাবরকে নিয়ে অসন্তোষ চরমে পৌঁছেছে। তাই দ্বিতীয় টেস্টের দল থেকে তাকে বাদ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে টিম ম্যানেজমেন্টের কাছে।
যদিও অধিনায়ক মাসুদ প্রথম টেস্টের পরও বাবরের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। তাকে ‘পাকিস্তানের সেরা ব্যাটার’ হিসেবে অভিহিত করেছিলেন। বাবরকে ফর্মে ফেরার জন্য সময় এবং সুযোগ দেওয়ার পক্ষেও প্রস্তাব করেছিলেন তিনি। কিন্তু কোচ গিলেসপি মনে করছেন, বাবর যথেষ্ট সুযোগ পেয়েছেন। বিশেষ কারও জন্য দল বারবার ক্ষতিগ্রস্ত হোক তিনি চান না।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ডিসেম্বরের পর বাবর টেস্টে অর্ধশতরানও করতে পারেননি। ২০১৯ সালের পর কোনো প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেননি বাবর। তাকে কায়েদ-ই-আজম ট্রফি খেলার নির্দেশ দেওয়া হবে। আগামী ২০ অক্টোবর থেকে শুরু হবে এই প্রতিযোগিতা।
শেষ নয়টি টেস্টে বাবরের গড় ২১-এর কম। টানা ১৮টি ইনিংসে ৫০ রানের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। কিছু দিন আগেই সাদা বলের ক্রিকেটে নেতৃত্ব ছাড়েন বাবর। এবার টেস্ট দল থেকে বাদ পড়তে চলেছেন তিনি। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টে পাকিস্তান পাবে না অসুস্থ আবরার আহমেদকে। তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। প্রথম একাদশে তাই দু’টি পরিবর্তন নিশ্চিত। বাবর এবং আবরারের পরিবর্তে নোমান আলী এবং সাজিদ খান আসতে পারেন প্রথম একাদশে। সংশয় রয়েছে শাহিন আফ্রিদির খেলা নিয়েও। হাঁটুর পুরনো চোট আবার ভোগাচ্ছে তাকে। শাহিনের ফিটনেস নিয়েও খুশি নন গিলেসপি। সম্পূর্ণ ফিট না হলে তাকেও খেলাতে রাজি নন পাকিস্তানের টেস্ট দলের কোচ।
সূত্র : ইএসপিএন।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত