নিরাপত্তাজনিত ইস্যুতে দীর্ঘদিন ধরেই ভারত-পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক সিরিজ বন্ধ আছে। প্রায় ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে পাকিস্তান সফরে যায়নি ভারত। এমন পরিস্থিতিতে এশিয়া কাপের পর এবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়েও বড় রকমের বিপাকে পড়তে যাচ্ছে পাকিস্তান। শেষ পর্যন্ত যদি রোহিত-কোহলিরা বাবর-শাহিনদের আতিথেয়তা গ্রহণ না করে তবে কি হবে? নাকি পাকিস্তান থেকেই সরে যাবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি?
তবে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) ইঙ্গিত দিয়েছে ভারত ক্রিকেট দল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলতে পাকিস্তানে না গেলে টুর্নামেন্টটি ‘হাইব্রিড মডেলে’ হওয়ার সম্ভাবনা আছে। ইসিবি চেয়ারম্যান রিচার্ড থম্পসন বলেছেন, টুর্নামেন্টে ভারতের না খেলাটা ক্রিকেটের জন্য ভালো হবে না।
২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানে বসবে ৫০ ওভারের টুর্নামেন্টটি। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আসন্ন আসর ঘোষণার পর থেকেই ভারত নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়। এখন পর্যন্ত ভারতের অংশগ্রহণ নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটেনি। ২০০৮ সালের পর ভারত আর পাকিস্তান সফরে যায়নি। ভারত সরকারের অনুমোদন না থাকায় ২০১২-১৩ মৌসুমের পর দ্বিপক্ষীয় সিরিজও খেলেনি দুই দল।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে ইসিবি চেয়ারম্যান দুই দেশের ক্রিকেটীয় অচলাবস্থা নিরসনে বিসিসিআই প্রধান জয় শাহকে বড় ভূমিকা রাখতে হবে উল্লেখ করে বলেন, ‘এখানে ভূরাজনীতি আছে। এরপর ক্রিকেটীয় ভূরাজনীতিও আছে। আমি মনে করি, তারা একটা সমাধানের পথ খুঁজে পাবে। খুঁজে পেতেই হবে।’
২০১৭ সালের পর এবারই প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি মাঠে গড়াতে যাচ্ছে। টুর্নামেন্টে মোট আটটি দল খেলবে। দলগুলো হলো- পাকিস্তান, ভারত, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান। এরই মধ্যে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য করাচি, রাওয়ালপিন্ডি ও লাহোরকে ভেন্যু চূড়ান্ত করে সংস্কারকাজও করছে পিসিবি।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ