২৬ জুলাই, ২০১৬ ১০:৩৪

সেলফির নয়া স্টাইল

অনলাইন ডেস্ক

সেলফির নয়া স্টাইল

সব কিছুরই একটা নির্দিষ্ট মেয়াদ থাকে। একটা সময়ের পর সব কিছুই পুরনো হয়ে যায়। পৃথিবীতে এই নিয়মের অন্যথা আজ পর্যন্ত হয়নি, ভবিষ্যতেও হয়তো হবে না। সেই অমোঘ নিয়ম মেনেই কিন্তু পুরনো হয়েছে সেলফিও! একটু স্পষ্ট করে বললে- সেলফি তোলার নিয়ম এবং স্টাইল!

এই জায়গায় এসে একটা প্রশ্ন আপনি তুলতেই পারেন- সেলফি তো মুহূর্তবিলাস, তার আবার সাত-সতেরো নিয়ম-কানুন কী? হ্যাঁ, নিয়ম থাকে বটে ছবি তোলার, যেমন কোন অ্যাঙ্গেলে ছবি তোলা হবে, ফ্রেমে কতটুকু ধরা দেবে, আলোটা নিতে হবে কীভাবে- এই সব আর কী!

এই সব হিসেব-নিকেশের দিক থেকেই তৈরি হয়েছে সেলফি তোলার হরেক নিয়ম। যেমন, ‘পাউট’! মানে, বাচ্চাদের মতো ঠোঁটটা একটু ফুলিয়ে সেলফি তোলা! খেয়াল করে দেখুন, একটা সময়ে আপনার ফেসবুকের দেওয়াল উপচে পড়ত না কি বন্ধুদের পাউট-সেলফিতে? এখন ওই পুরনো হয়ে যাওয়ার সূত্র ধরেই একঘেয়ে হয়েছে ‘পাউট’। একঘেয়ে হয়েছে মুখটা একদিকে সামান্য একটু বেঁকিয়ে সেলফি তোলার কায়দাও!
তাহলে এখন সেলফি তোলার নতুন স্টাইল কী?

সেলফি তোলার নতুন এই স্টাইলের নাম ‘ফিঙ্গারমাউথিং’। মানে, যে অ্যাঙ্গেলে হাতের আঙুল থাকবে মুখের ভিতরে বা ঠোঁটের কাছে। এবং, শর্ত মেনে দেখা যাবে সামনে থেকে মুখের প্রোফাইল।

ফিঙ্গারমাউথিংয়ের অবশ্য একটা মজাদার পোশাকি নাম আছে। সেটাকে বলা হয় ‘টিরেক্সহ্যান্ডস'। মানে, টিরেক্স প্রজাতির ডাইনোসররা যেমন মুখের সামনে হাতদুটোকে তুলে রেখে হাঁটত, সেটাই আর কী! এই কায়দাটাকে জনপ্রিয় করেছেন কিম কার্দাশিয়ান এবং আরও অনেক বিদেশি সেলেব্রিটিরা! তার পর ধীরে ধীরে তা জনপ্রিয় হচ্ছে!

তা, কীভাবে তুলবেন আপনার ফিঙ্গারমাউথিং সেলফি?

 

এমন কিছুই হাতি-ঘোড়া ব্যাপার নয়! স্রেফ হাতটাকে মুখের সামনে বা ঠোঁটের কাছে রাখুন। যেমনটা দেখতে পাচ্ছেন ছবিগুলোয়। এছাড়া আরও অনেক উপায়েই আপনি তুলতে পারেন আপনার ফিঙ্গারমাউথিং সেলফি! অভিনবত্বের অধিকার তো আপনার আছেই!

আর কী! একটা আওয়াজ হোক- ক্লিক! তার পরে সেই ছবি আপলোড হোক সোশ্যাল মিডিয়ায়। আপনাকে নতুন করে খুঁজে পাক বন্ধুরা! আপনিও নিজেকে চিনে নিন নতুন রূপে!

বিডি-প্রতিদিন/২৬ জুলাই, ২০১৬/মাহবুব

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর