২ ডিসেম্বর, ২০১৬ ২২:১৫

মিসাইল রুখতে সক্ষম 'মাল্টি-অবজেক্ট কিলিং ভেহিকল'!

অনলাইন ডেস্ক

মিসাইল রুখতে সক্ষম 'মাল্টি-অবজেক্ট কিলিং ভেহিকল'!

বর্তমানে পৃথিবীর বহু দেশ দূর পাল্লার মিসাইল প্রযুক্তি গড়ে তুলছে। এমন সিস্টেম গড়ে তোলা হয়েছে যেখানে একাধিক ওয়ারহেড থাকবে। এ প্রযুক্তিকে বলা হয় মাল্টিপল ইনডিপেনডেন্টলি টার্গেটেবল রি-এন্ট্রি ভেহিকেলস (এমআইআরভিএস)।

চীন এবং রাশিয়া তাদের ব্যালাস্টিক মিসাইলের জন্য আমআইআরভি প্রযুক্তি আয়ত্ত করেছে। ইরানও মাল্টিপল রি-এন্ট্রি ভেহিকেলস বানিয়েছে তাদের ব্যালাস্টিক মিসাইলের জন্য। আর আমেরিকা অন্য দেশের এমন মিসাইলকে রুখতে নতুন এক শক্তিশালী মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম গড়ে তুলছে।

সম্প্রতি আমেরিকা মিসাইল ডিফেন্স এজেন্সি রেথিওন, লকহেড-মার্টিন এবং বোয়িং নামের  তিনটি কম্পানিকে পুরস্কৃত করেছে। যারা 'মাল্টি-অবজেক্ট কিল ভেহিকল' বা এমওকেভি বানিয়েছে। যা ব্যবহার করে একটিমাত্র অস্ত্র ছোঁড়ার মাধ্যমে কয়েকটি লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করে দিতে পারবে।

গ্লোবালসিকিউরিটি ডট ওআরজি এর পরিচালক জন পাইক জানান, ১০ বছর আগে থেকে আমাদের যে ব্যবস্থা রয়েছে তা একটি বাহন ধ্বংস করতে সক্ষম। তবে আধুনিক এমওকেভি প্রোগ্রাম নতুন মাত্রায় নিরাপত্তা দেবে। রেথিওনের পরিকল্পনা গত ডিসেম্বরের এক কনসেপ্ট থেকেই এগিয়ে যাচ্ছে। একটি মিসাইলে কয়েকটি এমওকেভি থাকাবে। প্রত্যেক এমওকেভি'তে থাকবে বেশ কয়েকটি সেন্সর, একটি স্টিয়ারিং এবং যোগাযোগব্যবস্থা। এগুলো কোনো লক্ষ্যবস্তুকে সামান্য শক্তির মাধ্যমেই ধ্বংস করতে সক্ষম। এই আঘাত-পাল্টাআঘাতের গোটা বিষয়টি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের বাইরে ঘটবে। এই ধ্বংসের জঞ্জাল বায়ুমণ্ডলে ফিরে আসলে তা পুড়ে যাবে।

তবে একটি বিষয় কৌশলগতভাবে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হবে। কোনটি বোমা আর কোনটি ডিকয় তা বুঝে উঠার বিষয়টি বেশ কঠিন হতে পারে। এমনকি বেলুনকেও শনাক্ত করতে হবে যাতে করে অনায়াসেই হাইড্রোজেন বম্ব বহন করা সম্ভব। এই ধারণা কতটা কার্যকর হবে তা ২০১৮ সালে বাস্তবে পরীক্ষা করা যাবে। যদি পরিকল্পনা সফল হয় তো মিসাইল ডিফেন্স এজেন্সি ২০১৯ সাল থেকে এ ব্যবস্থা গড়ে তুলবে বলে জানিয়েছে মিলিটারি কর্তৃপক্ষ। সূত্র: লাইভ সায়েন্স।

বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার/21

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর