এ যেন অন্যরকম এক জগৎ। এর নাম 'অ্যাডাল্টিং'। এখানে সবাই এমন আচরণের চর্চা করেন যা বড়রা করেন। যেমন: বিভিন্ন বিল পরিশোধ, ট্যাক্স প্রদান বা প্রতিদিনের জীবন ধারণের ব্যবস্থা করা ইত্যাদি। আপনি হয়তো ভাবছেন, এসবের চর্চা করতে হবে কেন? একসময় তো সবাই বড় হবেই!

হ্যাশট্যাগের এই যুগে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ব্যাপক আলোচিত বিষয় হলো 'অ্যাডাল্ট'। আমেরিকান ডায়ালেক্ট সোসাইটি 'অ্যাডাল্ট' ক্রিয়াপদটিকে সবচে' সৃষ্টিশীল গঠনমূলক বলে শনাক্ত করেছে। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া। 

সমাজবিজ্ঞানী এবং শিশু বিশেষজ্ঞ ড. অনুপ্রিয়া চন্দার মতে, অ্যাডাল্টিং বিষয়টি এখন বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সেই ছেলে-মেয়েরাই অ্যাডাল্টিং চর্চা করছেন যাদের বাবা-মায়েরা ছোটকাল থেকেই তাদের আত্মবিশ্বাসী হতে শিখিয়েছেন। 'তুমি সবকিছু করতে পারো' বা 'দুনিয়াটা তোমারই' ইত্যাদি কথা তাদের মনে ঢুকিয়ে দিয়েছেন। এতে করে তাদের মনে একটি ধারণা ঠিকই স্থান করে নিয়েছে। তা হলো, জীবনটাকে এগিয়ে নেওয়া খুব কঠিন কাজ নয়। আবার দুনিয়াটা চ্যালেঞ্জিং, কিন্তু তা উপভোগ করতে হবে। কম বয়সী মিলেনিয়ালদের বড় হতে যে কোনো ভয় নেই তাই বুঝিয়েছেন বাবা-মায়েরা। আর সেখান থেকেই এই মিলেনিয়াররা অ্যাডাল্টিং-এর সংস্কৃতি গড়ে তুলেছেন।

সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার অমিত চৌহানের মতে, আমার একটা টিনএজ ছেলে রয়েছে। আধুনিক বাবা-মায়েরা সন্তান পালনের দিক থেকে খুব বেশি সাবধান। আবার ঝুঁকি নেই এমন যেকোনো কাজে কোনো বাধা হয়ে দাঁড়ান না তারা।

অ্যাডল্টিংয়ে নানা বিষয় চলে আসে। বসবাসের জন্য একটা বাসা খোঁজা, কম দামের আসবাব কেনা, ফ্রিজটা পরিষ্কার করা, নিজের বিল নিজে পরিশোধ করা, রাতের খাবার রান্না করা ইত্যাদি। মূলত অ্যাডাল্টিং এমন এক বিষয়ে যেখানে কম বয়সীদের আত্মবিশ্বাসী ও স্বনির্ভর হতে শেখায়। তো আপনি কি অ্যাডাল্টিংয়ের চর্চা করেন? না করলে আজ থেকেই শুরু করে দিন। নতুন প্রজন্ম সবাইকে অ্যাডাল্টিং জগতে স্বাগতম জানাচ্ছে। 

 
বিডি-প্রতিদিন/ ০৬ ডিসেম্বর, ২০১৬/ আফরোজ