এসএমএস যার পুরো কথার অর্থ হল শর্ট মেসেজ সার্ভিস । আধুনিক প্রজন্মের যোগাযোগের অন্যতম হাতিয়ার এটি। এসএমএসের আধুনিক সংস্করণ ম্যাসেজিং বা চ্যাটিংয়ের নেশায় প্রিয়জন বা বন্ধুদের সঙ্গে রাতভর জেগে থাকা এখন নিয়মিত ব্যাপার। তবে জানেন কি পৃথিবীর প্রথম এসএমএসে কী লেখা হয়েছিল?

আন্তর্জাতিক ওয়েবসাইট ইডিএন নেটওয়ার্ক এর তথ্য অনুযায়ী, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইটি সংস্থা ‘সেমা গ্রুপ’-এর ২২ বছর বয়সী আইটি কর্মী নেইল পাপওয়ার্থ বিশ্বের প্রথম এসএমএস পাঠান। এই এসএমএস কিন্তু তাঁর প্রেমিকার কাছে লেখা হয়নি। তিনি তাঁর মেসেজটি পাঠান বন্ধু রিচার্ড জারভিসের মোবাইল ফোনে। তবে এই মেসেজ পাঠানোর জন্য কোনও মোবাইল ফোন ব্যবহার করেননি নেইল। ১৯৯২ সালের ৩ ডিসেম্বর কম্পিউটার থেকে তিনি বিশ্বের প্রথম এসএমএসটি পাঠান।

প্রথম দিকে অবশ্য এসএমএস টেকনোলজি মুখ থুবড়ে পড়ে। এটি ইউজারদের কাছে অতটা জনপ্রিয় হয়ে উঠতে পারেনি। পরিসংখ্যান জানায়, ১৯৯৫ সালে জিএসএম সার্ভিস ইউজাররা প্রতিমাসে গড়ে মাত্র ০.৪ টি টেক্সট মেসেজ পাঠাত। অনেক ইউজার অতিরিক্ত বিল ওঠার ভয়ে মেসেজ পাঠাতে চাইত না। তবে বর্তমান সময়ে এসএমএস যোগাযোগের অন্যতম একটি মাধ্যম। এসএমএসের ধরন বদলে আধুনিকভাবে ব্যবহারের জন্যে বাজারে এসেছে হোয়্যাটসঅ্যাপ, ভাইবার, মেসেঞ্জার মতো যোগাযোগের অ্যাপসগুলো। পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, ২০১১ সালে বিভিন্ন মোবাইল ফোন অপারেটর শুধু এসএমএস সার্ভিস থেকে আয় করেছে প্রায় ৫৮৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তবে যে শুধু আয় বেড়েছে তাই নয়। ২০১১ সালে অক্সফোর্ড ডিকশনারি তাদের তালিকায় ‘লল’ (লাফিং আউট লাউড অথবা লাফ আউট লাউড) শব্দটি অ্যাড করেছে।

বিডি প্রতিদিন/৩০ মে ২০১৭/হিমেল