২৩ আগস্ট, ২০১৭ ২০:৩৮
ব্রিটিশ লেখকের আশঙ্কা

২০ বছরের মধ্যে শিশুদের মূর্খ বানাবে ফেসবুক-টুইটার

অনলাইন ডেস্ক


২০ বছরের মধ্যে শিশুদের মূর্খ বানাবে ফেসবুক-টুইটার

ফাইল ছবি

তথ্য প্রযুক্তির উৎকর্ষতার সঙ্গে সমাজের বিস্তার লাভ করেছে নানা ধরণের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের। এর যেমন ভাল দিক রয়েছে, তেমনি এ মাধ্যমগুলোর প্রতি অতিরিক্ত আসক্তির রয়েছে বিপরীত ফলও। আর সেটা যে কতটা ভয়ঙ্কর হবে সে সম্পর্কে এবার মুখ খুললেন বুকার পুরস্কার বিজয়ী এক ব্রিটিশ লেখক।

তার নাম হাওয়ার্ড জ্যাকবসন। ২০১০ সালে তিনি এ পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়া তিনি ক্যামব্রিজের শিক্ষার্থীও ছিলেন। এ লেখকের মতে ফেসবুক ও টুইটারসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের আধিপত্যের কারণে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের শিশুরা অশিক্ষিত হবে।

বুকার পুরস্কার বিজয়ী এ আরও লেখক বলেন, স্মার্টফোনের ব্যবহার এবং প্রচুর পরিমাণে ফেসবুক, টুইটারসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের কারণে নাটকীয়ভাবে তরুণ প্রজন্মের যোগাযোগের পদ্ধতি বদলে যাচ্ছে। আর এসবের কারণে তারা হারাচ্ছে বই পড়ার অভ্যাসও।

জ্যাকবসন জানান, শুধু তরুণ প্রজন্মই নয়, তিনি নিজেও বইয়ের প্রতি আর তেমন মনোযোগ দিতে পারেন না। কারণ তার মনোযোগের একটা বড় অংশও চলে যায় মোবাইল-কম্পিউটারের স্ক্রিনের পেছনে। তিনি বলেন, ‘আমি আগে যে পরিমাণ বই পড়তে অভ্যস্ত ছিলাম এখন আর পড়তে পারি না। আমার মনোযোগ চলে যায় ইলেকট্রুনিক সব পর্দার দিকে। আমি সাদা কাগজ চাই, কাগজের ওপর আলো চাই।’ জ্যাকবসন বলেন, ‘আগামী ২০ বছরের মধ্যে আমরা এমন শিশুদের পাব যারা পড়তে পারবে না।’

সাম্প্রতিক এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, পশ্চিমা বিশ্বের শিক্ষার মান অনেক নেমে গেছে। ১৯৮২ সালের পর গত বছরই প্রাপ্ত বয়স্কদের মধ্যে সাহিত্য পড়ার হার সবচেয়ে কম। গবেষণায় বলা হয়েছে, গত বছর মাত্র ৪৩ শতাংশ মানুষ বছরে মাত্র একটি বই পাঠ করেছেন। শুধু তাই নয়, প্রতিদিনই বাড়ছে তরুণদের অনলাইনে কাটানো সময়ের হার। পাঁচ থেকে ১৫ বছর বয়সীরা প্রতি সপ্তাহে গড়ে ১৫ ঘণ্টা অনলাইনে কাটায়। 

যুক্তরাষ্ট্রের এক গবেষণায় দেখা গেছে, বর্তমানে কিশোর বয়সীদের মধ্যে একাকিত্বের মাত্রা সবচেয়ে বেশি এবং ২০০৭ সালে আইফোন বাজারে আসার পর থেকে তাদের মানসিক স্বাস্থ্যেরও অবনতি ঘটেছে।

বিডি প্রতিদিন/ ২৩ আগস্ট, ২০১৭/ ই জাহান

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর