২৩ নভেম্বর, ২০১৭ ১৯:০৫

চাঁদে মানুষ পাঠানোর দাবি ভুয়া!

অনলাইন ডেস্ক

চাঁদে মানুষ পাঠানোর দাবি ভুয়া!

১৯৬৯-এ চাঁদে সর্বপ্রথম মানুষ পাঠানোর দাবি বরাবরই করে এসেছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। মনে করা হয়, অ্যাপোলো ১১-এর সাফল্যই নাকি মহাকাশে মানুষের সবচেয়ে বড় পদক্ষেপ। কিন্তু এবার এক নতুন ভিডিও মার্কিনিদের চন্দ্রাভিযানের দাবিকে নস্যাৎ করে দেওয়ার দাবি তুলে দিল।

এরকম দাবি অবশ্য এই প্রথম নয়, এর আগেও বহুবার নাসার চন্দ্রাভিযানের সাফল্য নিয়ে নানা সংশয় মানুষের মনে উঁকি দিয়েছে। যারা এর সমালোচনা করেন, পোশাকি ভাষায় তাদের বলা হয় 'কন্সপিরেটর'। আর তাদের তত্ত্বকে বলা হয়, কন্সপিরেসি থিওরি। এবার সে রকমই এক কন্সপিরেটর নাসার কিছু ছবি বিশ্লেষণ করে দাবি করলেন, আমেরিকার ষষ্ঠ চন্দ্রাভিযান 'সফল' হওয়া ও চাঁদে মানুষ পাঠানোর দাবি আসলে পুরোটাই ভুয়া।

মেল অনলাইন এই শীর্ষক খবরের সঙ্গে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। Streetcap1 নামের একটি ইউটিউব চ্যানেল এই ভিডিও প্রকাশ করে জানিয়েছে, অ্যাপোলো ১৭ চাঁদে নামার পর এক মহাকাশচারীর শরীরে নাকি স্পেসস্যুটই ছিল না। নাসারই একটি ছবিকে সফটওয়্যারের মাধ্যমে বিশ্লেষণ করে এই দাবি তুলেছেন ওই ইউটিউব চ্যানেলের মালিক। 

তার দাবি, যে ব্যক্তিকে ওই ছবিতে দেখা যাচ্ছে তার মাথায় লম্বা চুল রয়েছে। তার দেহে স্পেসস্যুট নেই, অথচ চাঁদে তার যে ছায়া পড়েছে সেই ছায়ায় কিন্তু স্পেসস্যুট দেখা যাচ্ছে। অতএব, এই ছবি স্টুডিওতে তোলা।

ভিডিওটি নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই মুখ খোলেনি নাসা। ভিডিওটির সত্যটাও যাচাই করা সম্ভব হয়নি। ইতিমধ্যেই ভিডিওটি অনলাইনে শোরগোল ফেলে দিয়েছে। ১৭ লাখ মানুষ দেখে ফেলেছেন। একা তিনিই নন, এর আগেও বহু মানুষ দাবি করেছেন, আমেরিকা যদি ১৯৬৯-এই চাঁদে মানুষ পাঠাতে সক্ষম হয়, তাহলে তারপর থেকে আজ পর্যন্ত কেন একবারও চন্দ্রাভিযানের পুনরাবৃত্তি হল না।সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন।

বিডি প্রতিদিন/২৩ নভেম্বর ২০১৭/আরাফাত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর