চাঁদের দূরবর্তী, অগম্য স্থান সম্পর্কে জানতে পাড়ি দিল চীনের চ্যাংই-৪ লুনার রোভার। শনিবার স্থানীয় সময় ভোররাত ২.২৩ মিনিট নাগাদ দক্ষিণপশ্চিম চীনের সিচুয়ান প্রদেশের শিচ্যাং স্যাটেলাইট লঞ্চ সেন্টার থেকে লং মার্চ ৩বি রকেটে করে মহাকাশে উড়ে গেছে চ্যাংই-৪ লুনার রোভার।
চীনা শাস্ত্রে চন্দ্রদেবীর নাম চ্যাংই। সেই নামেই তাদের প্রথম লুনার প্রোব রোভারের নাম রেখেছে চীন। আগামী জানুয়ারির শুরুতে গন্তব্যে পৌঁছানোর কথা চ্যাংংই-৪ রোভারের। প্রকল্পের মুখ্য কমান্ডার হে রংওয়েই বললেন, ‘চ্যাংংই-৪ রোভারই মানুষের তৈরি প্রথম মহাকাশযান যেটা চাঁদের দূরবর্তী অংশে নেমে সেখানে পরীক্ষা নিরীক্ষা চালাবে। মহাকাশ গবেষণার পক্ষেও এই প্রকল্প অত্যন্ত অর্থপূর্ণ।’
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, চাঁদের যে দিকটা আমরা দেখতে পাই, সেদিকটি অনেকটাই সমতল। ফলে রকেট নামানো তুলনামূলকভাবে সহজ। কিন্তু অদেখা দিকটি, বিজ্ঞানীরা যার নাম দিয়েছেন ‘চাঁদের অন্ধকার দিক’ সেটা খাড়াই পাহাড়, পাথুরে জমিতে পরিপূর্ণ। ১৯৫৯ সালে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন প্রথম সেই দিকের ছবি তুলেছিল।
'চ্যাংই-৪'- এ রয়েছে ২৪০০ পাউন্ড এবং ৩০০ পাউন্ডের দুটি মূল ল্যান্ডার। এর মধ্যে আছে বিশেষ ক্যামেরা, মাটির অতি গভীরে ঢুকে যাওয়ার মতো র্যাডার এবং স্পেক্ট্রোমিটার। চাঁদের অন্ধকার দিকের ভন কারমান খাদে গিয়ে নামার কথা রোভারের। চাঁদের পাথর, চাঁদের উপর সৌর বাতাসের প্রভাব, পৃথিবীর শব্দ, তেজস্ক্রিয়তা কতটা প্রভাবিত করে চাঁদের অন্ধকার দিককে সেটা নিয়ে গবেষণা চালাবে চ্যাংই-৪ রোভার।
বিডি প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ সিফাত