শিরোনাম
১৫ ডিসেম্বর, ২০১৮ ২০:৪৭

সমুদ্রের পানি থেকে তৈরি হবে জ্বালানি, দাবি বিজ্ঞানীদের!

অনলাইন ডেস্ক


সমুদ্রের পানি থেকে তৈরি হবে জ্বালানি, দাবি বিজ্ঞানীদের!

প্রতীকী ছবি

পৃথিবী জুড়ে জ্বালানির অভাবের কথা আমাদের সকলেরই জানা আছে। পেট্রল-ডিজেলসহ খনিজ তেলের ভাণ্ডার ক্রমশ ফুরিয়ে আসছে। বিজ্ঞানীরা খোঁজ চালাচ্ছেন বিকল্প জ্বালানির। এমন পরিস্থিতিতে ক্যালিফোর্ণিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক গ্রেগ রাউ জানালেন সেই বিকল্প রয়েছে হাতের নাগালেই৷ শুধু একটু পরিশ্রম করলেই তা পাওয়া যাবে।

গ্রেগ বলছেন, সমুদ্রের পানি থেকেই তৈরি হতে পারে বিকল্প জ্বালানি। সমুদ্রের পানির অণুগুলি ভেঙে তৈরি করতে হবে হাইড্রোজেন গ্যাস। আর সে জন্য ব্যবহার করতে হবে ইলেকট্রোলাইসিস পদ্ধতি। পানির তড়িদায়ন হয়ে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় এই জ্বালানি উৎপাদন করা সম্ভব।

হাইড্রোঅক্সাইড আয়ন ও হাইড্রোজেন আয়নগুলিকে আলাদা করতে পারা যাবে ইলেকট্রোলাইসিসের মধ্যে দিয়ে। এই হাইড্রোঅক্সাইড বাতাস থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করবে। তৈরি করবে বায়ো কার্বোনেট। তারপর সেখান থেকেই তৈরি করা যাবে বিশেষ জ্বালানি৷

এই বায়ো কার্বেনেট কোনো ভাবেই সমুদ্রের ইকো সিস্টেমকে দূষিত করবে না। সমীক্ষা বলছে, সৌর বিদ্যুৎ ও বায়ুশক্তি দিয়ে তৈরি বিদ্যুৎ যেভাবে বিকল্প জ্বালানি হিসেবে মর্যাদা পেয়েছে, তেমনই এই সমুদ্রের পানি থেকে তৈরি জ্বালানি নতুন পথ দেখাবে বিশ্বকে৷

এই জ্বালানিকে বলা হচ্ছে হাইড্রোজেন ফুয়েল। এর খরচও অনেক কম বলে জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। এতে বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণও উল্লেখযোগ্য হারে কমে যাবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।

এর আগে, আয়ারল্যান্ডে একটি ইউরোপীয় গবেষণা প্রকল্পে সাগরের পানির নীচে সি-উইড বা অ্যালজি থেকে জ্বালানি উৎপাদনের নমুনা দেওয়া হয়। গবেষকরা ঐ সামুদ্রিক শ্যাওলা থেকে যে তেল বের করেছেন, তা বায়োফুয়েল তৈরিতে কাজে লাগানো যায়৷ বিজ্ঞানীরা জানান সি-উইডের চাষ করতে কোনো সার লাগে না, চাষের জমি লাগে না। এছাড়া সি-উইড খুব তাড়াতাড়ি বাড়ে, ছ’মাসেই পুরো গজিয়ে যায়৷

কিছু ধরণের অ্যালজি অর্থাৎ সামুদ্রিক শ্যাওলায় শর্করা আছে, যা বায়োএথানল তৈরিতে ব্যবহার করা যায়।অপর কিছু অ্যালজিতে তেল আছে, যা বায়োডিজেলে পরিণত করা যায়।

গবেষকরা এ ধরনের জ্বালানিকে ব্যবসায়িক দিক থেকে ব্যবহারযোগ্য করতে সচেতন। তারা প্রধানত অ্যালজির বাড় ও অ্যালজিতে তেলের পরিমাণ বাড়ানোর চেষ্টা করছেন৷ গবেষক জুলি ম্যাগওয়ার বললেন, গবেষণা থেকে দেখা গেছে যে, এই শ্যাওলায় মাটিতে চাষ করা ফসলের চেয়ে ৭ থেকে ৩১ গুণ বেশি তেল থাকবে৷


বিডি প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ সিফাত 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর