সুউচ্চ ভবনে অগ্নিনির্বাপণে ড্রোন প্রযুক্তি ব্যবহার করবে সংযুক্তি আরব আমিরাতের শারজাহ কর্তৃপক্ষ। আগামী বছর থেকে এই প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হবে।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ২০২৫ সালের প্রথম ত্রৈমাসিকে শারজাহ সিভিল ডিফেন্স সুউচ্চ ভবনে অগ্নিনির্বাপণের ক্ষেত্রে ড্রোন প্রযুক্তি ব্যবহার করবে। এরই মধ্যে সেই ড্রোন প্রযুক্তি পরীক্ষা করে দেখেছে শারজাহ সিভিল ডিফেন্সের প্রযুক্তিগত দল।
২৭ কেজি ওজনের উন্নত প্রযুক্তিতে সজ্জিত এই ড্রোন মাত্র ১৮ সেকেন্ডে ১৫০ মিটার উচ্চতায় পৌঁছাতে পারে, যা প্রায় ৪০ তলার সমান। এটি উন্নত এবং সৃজনশীল পদ্ধতি। এতে অগ্নিনির্বাপণের সময় বাঁচবে। সেই সঙ্গে প্রথাগত অগ্নিনির্বাপক পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে এসে কৌশলগত এবং কার্যক্ষম লক্ষ্য অর্জনে উল্লেখযোগ্যভাবে অবদান রাখবে, বিশেষ করে উচ্চ ভবনগুলোর ক্ষেত্রে।
শারজাহ সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার সামি আল নাকবি বলেছেন, “আমরা ড্রোনটি পরীক্ষা করেছি। এটি সফলভাবে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। এটি মাত্র ১৮ সেকেন্ডে ১৫০ মিটার উচ্চতায় পৌঁছেছে, যা প্রায় ৪০ তলার সমান।”
তিনি আরও বলেন, “এই উচ্চতায় ৫,০০০ লিটারের অভ্যন্তরীণ ট্যাংক থেকে ১৫ মিটার পর্যন্ত পানি স্প্রে করার সক্ষমতা দেখিয়েছে। এটি মাটিতে স্থাপন করা একটি ট্যাংকের সাথে সংযুক্ত থাকে। সেখান থেকে এই ট্যাংক রিফিল করা যায়।”
ব্রিগেডিয়ার আল নাকবি বলেন, “ড্রোনটিতে একটি থার্মাল ক্যামেরা থাকবে, যা অগ্নিনির্বাপক দলকে তাপের উৎস ও তীব্রতা এবং এর ঘনত্ব নির্ধারণ করতে সহায়তা করবে, বিশেষত বড় জায়গায় অগ্নিকাণ্ডের ক্ষেত্রে। এতে অগ্নিনির্বাপক দল আগুন নিয়ন্ত্রণে দ্রুত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করবে।”
তিনি আরও বলেন, “এই ড্রোনের সক্ষমতা আরও বাড়ানোর ব্যাপারে প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এর সক্ষমতা ১৫০ মিটার থেকে ২০০ মিটারে উন্নত করা হবে, যা প্রায় ৬০ তলার সমতুল্য। আকাশচুম্বী ভবনগুলোতে অগ্নিনির্বাপণে এটি দমকল কর্মীদের আরও দক্ষ করে তুলবে।” সূত্র: খালিজ টাইমস
বিডি প্রতিদিন/একেএ