অনেকেই ভাবেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়া’ অ্যাপগুলো তো ঠিকঠাকই চলছে! আপডেট করার প্রয়োজন কী? এর উত্তর হলো- আছে, অবশ্যই প্রয়োজন আছে। প্রযুক্তিসংশ্লিষ্টরা বলছেন, সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ আপডেটে অনেকের অনীহা রয়েছে। কোনো ধরনের অসুবিধা বা একদম ক্র্যাশ না হওয়া পর্যন্ত খুব কম ব্যবহারকারীই এগুলো স্বেচ্ছায় আপডেট করেন। স্মার্টফোনে ব্যবহৃত সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপগুলো কেন আপডেট করাবেন, জেনে নিন...
♦ সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ ‘আপডেট’ রাখলে নতুন ফিচার ব্যবহারের সুযোগ পাওয়া যায়। এখানে মূলত নতুন ফিচার এবং নতুন সুবিধা মেলে। যা সেই অ্যাপের যোগাযোগের মাধ্যমকে আরও সহজতর করে। ফোনে স্বয়ংক্রিয় অ্যাপ আপডেট চালু রাখলে এসব ফিচার অন্যদের ব্যবহারের আগেই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার সুযোগ পেয়ে যাবেন।
♦ প্রতিটি নতুন সংস্করণের সঙ্গে আসা বাগ (ত্রুটি) ফিক্স ও পারফরম্যান্স উন্নতির সুবিধা পাওয়া এসব অ্যাপ আপডেটেড রাখার অন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হতে পারে। ছবি আপলোড করা, বার্তা পাঠানো বা ফিড স্ক্রল করার সময় যখন অ্যাপটি ল্যাগ, ফ্রিজ বা অপ্রত্যাশিতভাবে ক্র্যাশ করে- এটা খুবই হতাশাজনক ও বিরক্তির কারণ হতে পারে। অ্যাপ আপডেটে এসব সমস্যা এড়ানো যায়।
♦ অ্যাপ আপডেটগুলো প্রায়ই এমন কিছু পরিবর্ধন নিয়ে আসে, যা প্রথমে স্পষ্ট নাও হতে পারে। তবে অ্যাপ ডেভেলপাররা প্রতি আপডেটে দুর্বলতা ও নিরাপত্তার ত্রুটিগুলো সমাধান করেন। প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলেন, পুরনো অ্যাপ ব্যবহার মানেই সাইবার অপরাধীদের জন্য দরজা খোলা রাখা। ফলে হ্যাকাররা ব্যক্তিগত তথ্য চুরি এবং সম্ভাব্য ক্ষতি ঘটাতে পারে। তাই নিয়মিত অ্যাপগুলো আপডেট করে নিরাপত্তা ঝুঁকি এড়ানো যায়।
♦ কোনো অ্যাপ ডিউভাইসে কতটা ভালোভাবে কাজ করছে, তা গুরুত্বপূর্ণ। শুধু বাগ নয়, পুরনো অ্যাপ সংস্করণগুলো নতুন আপডেটেড ডিভাইসেও বিরক্তিকর হয়ে উঠতে পারে। যেমন : স্ক্রলিংয়ে সময় ল্যাগ হওয়া বা অপ্রত্যাশিত লগআউট। অ্যাপ আপডেট সাধারণত এ সমস্যাগুলো সমাধান করে। অ্যাপকে ফোনের সর্বশেষ আপডেটের সঙ্গে কাজ করার জন্য উন্নত করে। যদি আপডেট উপেক্ষা করা হয়, তাহলে অ্যাপগুলো ধীর ও গ্লিচি হতে পারে, এমনকি প্রয়োজনের সময় ক্র্যাশ করতে পারে।
তথ্যসূত্র : অ্যানগ্যাজেট