মঙ্গলবার, ১৭ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

এয়ারপোর্ট মোড়ে ট্রাফিক পুলিশের দড়ি থেরাপি

নিজস্ব প্রতিবেদক

এয়ারপোর্ট মোড়ে ট্রাফিক পুলিশের দড়ি থেরাপি

কাছেই ফুটওভার ব্রিজ, তবু ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পার হচ্ছেন পথচারীরা। বিশৃঙ্খলা ঠেকাতেই এই দড়ি থেরাপি -ছবি : জয়ীতা রায়

রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর মোড়ে ট্রাফিক পুলিশের দড়ি থেরাপি অব্যাহত রয়েছে। প্রতিদিন সকাল ও বিকালের ব্যস্ত সময়ে পথচারীদের স্রোত ঠেকাতে ট্রাফিক পুলিশ দুই পাশে দড়ি ধরে মানুষ আটকে রাখেন। দড়ির দুই পাশে শত শত মানুষ সিগন্যালের অপেক্ষায় থাকেন। সিগন্যাল শেষ হলে দড়ি ছেড়ে দেওয়া হয়। তখন মানুষ হেঁটে-দৌড়ে রাস্তা পার হয়ে যান। এ দৃশ্য শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সামনের মোড়ে প্রতিদিন সকাল ও বিকালবেলা দেখা যায়।

পথচারীরা জানান, সকালে অফিসে যাওয়ার তাড়া থাকে অনেক বেশি। এ জন্য বিমানবন্দর মোড়ে কর্মস্থলমুখী মানুষের ভিড়ও থাকে বেশি। কিন্তু ট্রাফিক বিভাগের অগ্রাধিকার থাকে উত্তরা থেকে মতিঝিল-সায়েদাবাদগামী যাত্রীবাহী বাসগুলো দ্রুত পার করে দেওয়ার। সেজন্য সিগন্যাল চলাকালে হেঁটে পারাপার ঠেকাতে দড়ি হাতে দাঁড়িয়ে থাকে ট্রাফিক পুলিশ। এই মুহূর্তে ট্রাফিক পুলিশের কাছে এটা ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই। সকালবেলা এয়ারপোর্ট মোড়ে যাত্রীবাহী বাস ও ব্যস্ত মানুষের পারাপারে এক বিশৃঙ্খল অবস্থার সৃষ্টি হয়। মানুষকে অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে দৌড়ে রাস্তা পার হতে দেখা যায়। দড়ি হাতে পুলিশ একটু সরে দাঁড়ালেই মানুষের ছোটাছুটি শুরু হয়ে যায়। তখন বাসগুলোও মাঝপথে দাঁড়িয়ে যাত্রী তোলার প্রতিযোগিতায় ব্যস্ত হয়ে পড়ে।

 

 

উল্লেখ্য, এয়ারপোর্ট মোড়ে যানবাহন ও যাত্রী পারাপারের এই বিশৃঙ্খল অবস্থা দূর করতে বাংলাদেশ প্রতিদিন এর আগে বেশ কয়েকটি রিপোর্ট প্রকাশ করে। এসব রিপোর্টে বিমানবন্দর রেলস্টেশন থেকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত সুড়ঙ্গ পথ (টানেল) এবং উপরে বিমানবন্দরের টার্মিনাল থেকে উত্তরে রাজলক্ষী বা জসীমউদ্দীন মোড় পর্যন্ত এবং দক্ষিণে রিজেন্সি হোটেল পর্যন্ত ফ্লাইওভার কিংবা ওভারপাশ নির্মাণের প্রস্তাব করা হয়। এর ফলে এয়ারপোর্ট রোডের যানবাহনের চাপ কমবে এবং প্রতিদিনের যানজট দূর হবে। তবে বাংলাদেশ প্রতিদিনের এই প্রস্তাবনাটি সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সম্প্রতি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিমানবন্দর রেলস্টেশন থেকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর টার্মিনাল পর্যন্ত টানেল নির্মাণ করা হবে। এর অর্থায়নের ব্যাপারেও একটি দাতাসংস্থা সম্মতি দিয়েছে।

সর্বশেষ খবর