মঙ্গলবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০১৬ ০০:০০ টা

চসিকে ইন্সপেক্টরদের লাইসেন্স বাণিজ্য

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

চসিকে ইন্সপেক্টরদের লাইসেন্স বাণিজ্য

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) লাইসেন্স ইন্সপেক্টরদের দৌরাত্ম্য থামছে না। প্রতিটি লাইসেন্সে ইন্সপেক্টরদের অতিরিক্ত দিতে হয় ৫০০ থেকে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত। নিয়ম মতে, ‘নিউজ এজেন্সি অথবা তথ্য সরবরাহ’ ক্যাটাগরির লাইসেন্স ফি ১০০০ টাকা, সাইন বোর্ড ফি ৩০০ টাকা, কর ১৫০ টাকাসহ মোট ১৪৫০ টাকা। কিন্তু এই খাতে খরচ করতে হচ্ছে প্রায় ২৫০০ টাকা। কিন্তু এখন অলিখিতভাবে দিতে হচ্ছে অঙ্গীকারনামা খরচ ২০০ টাকা, গাড়ি ভাড়ার নামে ২০০ টাকা, ফরম জমা ২০০ টাকা, ‘ইন্সপেক্টর ফি’ ৫০০ টাকা। ১৪৫০ টাকার লাইসেন্স নিতে গ্রাহককে গুনতে হচ্ছে ২৫৫০ টাকা পর্যন্ত। একইভাবে বিজ্ঞাপন প্রচারণী প্রতিষ্ঠান ক্যাটাগরির লাইসেন্স ফি ৩০০০ টাকা, সাইনবোর্ড ফি ৯০০ টাকা, কর ৪৫০ টাকা। কিন্তু এই ৪৩৫০ টাকার জায়গায় গ্রাহকদের গুনতে হয় দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ টাকা। অভিযোগ রয়েছে, এভাবে অতিরিক্ত টাকা দিলে একদিন পরই লাইসেন্স পাওয়া যায়। কিন্তু টাকা না দিলে লাইসেন্স পেতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়। সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী শফিউল আলম বলেন, বিষয়টি আমরা শুনেছি। তবে কেউ সুনির্দিষ্টভাবে অভিযোগ করেনি। ফলে কারও বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না। লাইসেন্স ইন্সপেক্টরদের নিয়ে বৈঠক করে তাদের সতর্ক করা হবে।

অভিযোগ রয়েছে, লাইসেন্স ইন্সপেক্টরদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ থাকলেও তাদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হয় না। ইতিমধ্যে ৩ নম্বর সার্কেলের ইন্সপেক্টর নাছির উদ্দিনের বিরুদ্ধে বক্সির হাট ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নুরুল হক লিখিত অভিযোগ দেন। পরে তাকে কেবল শাস্তিমূলক সচিবালয়ে ওএসডি করা হয়। তা ছাড়া ৫ নম্বর সার্কেলের লাইসেন্স ইন্সপেক্টর শফিকুল ইসলাম সিদ্দিকী টিপুর বিরুদ্ধে একই সার্কেলের কর কর্মকর্তা অভিযোগ দেন। পরে তাকেও কেবল ওএসডি করা হয়। রাজস্ব বিভাগ সূত্র জানায়, বর্তমানে রাজস্ব বিভাগের ৮টি সার্কেলে ৫৪ জন লাইসেন্স ইন্সপেক্টর আছেন। তাদের অধিকাংশের কাছেই লাইসেন্স গ্রহীতারা জিম্মি।

সর্বশেষ খবর