মঙ্গলবার, ১ মার্চ, ২০১৬ ০০:০০ টা

চট্টগ্রামে ‘মিনি বাংলাদেশ’

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে ‘মিনি বাংলাদেশ’

চট্টগ্রামের স্বাধীনতা কমপ্লেক্স। প্রবেশ করতেই দেখা যাবে জাতীয় সংসদ ভবন। ভবনের নিচে আছে জলরাশি। একটু বামে গেলে আছে আধুনিক স্থাপত্যের ছোঁয়ায় তৈরি প্রায় ২৫০ ফুট উচ্চতার ঘূর্ণায়মান ‘রিভলবিং রেস্টুরেন্ট’। এখানে উঠলেই এক দৃষ্টিতে আসবে সমগ্র চট্টগ্রাম। দেখা যাবে হাইকোর্ট, দরবার হল। এভাবে দেশের বর্ণিল ঐতিহ্য, স্থাপনা ও নান্দনিক স্মারক নিয়ে গড়ে উঠেছে মিনি বাংলাদেশ (স্বাধীনতা পার্ক)। স্থাপন করা হবে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার ম্যুরাল। চট্টগ্রাম নগরীর বহদ্দারহাট বাস টার্মিনাল সংলগ্ন এ বিনোদন কেন্দ্রটি যাত্রা করেছে নতুন অবয়ব নিয়ে। নতুন সাজে অপরূপ হয়ে উঠেছে স্বাধীনতা পার্কটি। কাটা হয়েছে অপরিচ্ছন্ন ঘাস। প্রতিটি গাছের গোড়ায় লেগেছে রং। পরিষ্কার করা হয়েছে রেপ্লিকাগুলো। নতুন রূপ দেওয়া হয়েছে সব স্থাপনায়। চালু করা হয়েছে ঝরনা, ৫টি পানির ফোয়ারা। লেকের মধ্যে ছাড়া হয়েছে দুটি প্যাডেল বোট। আলোকিত করা হয়েছে পুরো পার্ক। চালু করা হয়েছে বাচ্চাদের জন্য ৬টি বাম্পার কার। চালুর পথে ব্যতিক্রমী রিভলবিং টাওয়ার রেস্তোরাঁ। পার্কটিকে রূপান্তর করা হচ্ছে ওয়াইফাই জোনে। শিশুদের জন্য চীন থেকে আনা হচ্ছে নতুন নতুন রাইড। পার্কের ভিতরে শিশুদের জন্য আছে পৃথক তিনটি কিডস জোন।  পার্কটির পরিচালক মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেন, নানা অবহেলায় পড়ে থাকা পার্কটিকে নতুন রূপ দেওয়া হয়েছে। এখন দৈনিক প্রায় এক হাজার মানুষ এই বিনোদন কেন্দ্রে আসেন। আমরা চাই দেশের গর্বের নান্দনিক ঐতিহ্য নিয়ে গড়ে ওঠা এই বিনোদন কেন্দ্রটি হয়ে উঠুক পারিবারিক বিনোদন কেন্দ্র। সবাই যেন এখানে এসে একটা স্বস্তির নিঃশ্ব্বাস ফেলতে পারেন সেই চেষ্টাই থাকবে আমাদের। দর্শনার্থী ও সরকারি কমার্স কলেজের শিক্ষার্থী এস এম হুমায়ুন কবির বলেন, এখানকার পরিবেশ আগের চেয়ে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। এখন এটি আসলেই মিনি বাংলাদেশে রূপ নিয়েছে। মিনি বাংলাদেশে আছে— আহসান মঞ্জিল, সংসদ ভবন, কার্জন হল, কান্তজির মন্দির, লালবাগ কেল্লা, বড়কুঠি, ছোট কুঠি, সোনা মসজিদ, পাহাড়পুর বিহার, দরবার হল, হাইকোর্ট, সেন্ট নিকোলাস চার্চ, শহীদ মিনার, জাতীয় স্মৃতিসৌধ, ট্রেনের নিচে ব্রিজ, ছয়টি কিউচ (বসার স্টল), চিরন্তন পল্লী। ফলে এটি দর্শনার্থীদের কাছে মিনি বাংলাদেশ হিসেবে পরিচিত। তাছাড়া ২৪ তলা সমপরিমাণ সুউচ্চ রিভলবিং রেস্টুরেন্ট ও অ্যামিউজমেন্ট রাইডটি দর্শকদের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয়। আছে চাকমা, মারমা, ত্রিপুরাসহ বিভিন্ন ক্ষুদ্র জাতিসত্তা ও বিভিন্ন জেলার ইতিহাস-ঐতিহ্যনির্ভর পাড়ার রেপিকা ইত্যাদি। শিশুসহ বিনোদন পিপাসুদের জন্য আছে মিনি ট্রেন, পেডেল ট্রেন, ফ্যামিলি কোস্টার, প্যাডেল বোট, বেবি ক্যাসেল, বেলুন হুইল, মনোরেল, বাম্পার কার, মিউজিক সুইং, আরবি ট্রেন। চালু করা হবে কয়েন বোট, সি ওয়ার্ল্ড ও কিডস জোন।

সর্বশেষ খবর