মঙ্গলবার, ১৯ এপ্রিল, ২০১৬ ০০:০০ টা

মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ গাজীপুরবাসী

খায়রুল ইসলাম, গাজীপুর

মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ গাজীপুরবাসী

গাজীপুর সিটি করপোরেশন এলাকায় মশার উপদ্রব বেড়েছে। মশার যন্ত্রণায় নগরবাসীর জীবনযাত্রা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। রাত-দিন মশার যন্ত্রণা সহ্য করতে হচ্ছে নগরবাসীকে। দিনের বেলায়ও কর্মক্ষেত্রে কয়েল জ্বালিয়ে বা স্প্রে করে কাজ করতে হচ্ছে। মশা নিধনে সিটি করপোরেশনের কোনো পদক্ষেপ চোখে পড়ে না। অতি উপদ্রুত এলাকায় সামান্য কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হলেও তাতে তেমন সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে নগরবাসীর ভোগান্তি কমছে না।

গাজীপুর সিটিতে রয়েছে ছোট-বড় মিলে প্রায় সাড়ে ৭ হাজার শিল্প কল-কারখানা। অধিকাংশ কারখানাতেই সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নেই। ফলে শিল্প কল-কারখানার বর্জ্যে এলাকার পরিবেশ মারাত্মকভাবে দূষিত হচ্ছে। পাশাপাশি খাল-বিল, নদী-নালা-জলাশয়ের পানি দূষিত হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন স্থানে পচা পানিতে জলাবদ্ধতারও সৃষ্টি হচ্ছে। আর এসব দূষিত পানি এবং নোংরা নর্দমা মশা উৎপাদনের ক্ষেত্র হয়ে দেখা দিয়েছে। এ ছাড়া বসতবাড়ি ও হাটবাজারের আশপাশে জমে থাকা বর্জ্য এবং নর্দমার নোংরা পানিতেও ব্যাপক হারে মশার বিস্তার ঘটছে। সব স্থানের আবর্জনা সঠিক সময়ে না সরানোর কারণে মশার বিস্তার ঘটছে। নিয়মিত পরিষ্কার হয় না নগরীর নর্দমা ও জলাশয়গুলো। ফলে এসব স্থান মশা উৎপাদনের খামারে পরিণত হয়েছে। রাতে মশার অসহ্য যন্ত্রণায় নাগরিকদের ঘুমাতে গিয়ে বিড়ম্বনা পোহাতে হচ্ছে। গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কে. এম রাহাতুল ইসলাম বলেন, সিটি করপোরেশনে মশা নিধন কার্যক্রমে লোকবলের অভাব রয়েছে। এ কারণে মশা নিধনে সম্পূর্ণ শক্তি-সামর্থ্য সিটি করপোরেশন অর্জন করতে পারেনি। তবে বেশি উপদ্রুত এলাকায় কিছু কিছু মশা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ জানান, মশার উপদ্রব থেকে নগরবাসীকে রক্ষা করতে আরও ১০টি ফগার মেশিন কেনা হচ্ছে। এ ছাড়া নর্দমা, পচা-নোংরা জলাশয় ও আর্বজনার স্তূপগুলো পরিষ্কার করে বর্ষা মৌসুমের আগেই মশা নিধনে করপোরেশন একটি ক্র্যাশ প্রোগ্রাম নেবে।

সর্বশেষ খবর