মঙ্গলবার, ২১ জুন, ২০১৬ ০০:০০ টা

গতিরোধক মরণ ফাঁদ!

রাহাত খান, বরিশাল

গতিরোধক মরণ ফাঁদ!

বরিশাল নগরীর অর্ধশতাধিক গতিরোধক এখন মরণ ফাঁদ। নিরাপদ চলাচলের জন্য গতিরোধক নির্মাণ করা হলেও এগুলোতে যথাযথভাবে রং না দেওয়ায় অহরহ ঘটছে দুর্ঘটনা। তারপরও রং দেওয়ার উদ্যোগ নেই সিটি করপোরেশনের। এমনকি নগরীর গতিরোধকের সংখ্যাও জানা নেই কর্তৃপক্ষের।

নগরীর বটতলা এলাকা থেকে হাতেম আলী কলেজ পর্যন্ত ছয়টি গতিরোধক রয়েছে। হাসপাতাল রোডে ছয়টি, বান্দ রোডে ছয়টি, শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে চারটি, সিঅ্যান্ডবি রোডের আমতলা মোড় থেকে নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল পর্যন্ত সাতটি, আমানতগঞ্জ থেকে পলাশপুর পর্যন্ত ছয়টি, নবগ্রাম রোডে ছয়টি, ব্রজমোহন কলেজের সামনে দুটি, কলেজ রোতে দুটি, ফজলুল হক এভিনিউতে দুটি, স্ব-রোডে একটিসহ অধিকাংশ গতিরোধক রংবিহীন। কিছু গতিরোধকে দুর্ঘটনা এড়াতে স্থানীয়রা রং দিয়েছেন। তবে কোন রং কীভাবে দিতে হবে তা না জানায় কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রকৌশল বিভাগ সূত্র জানায়, নগরীর মধ্যে গতিরোধক নির্মাণে নিরুৎসাহিত করা হয়। কিন্তু স্থানীয়দের দাবিতে বেশ কিছু স্থানে গতিরোধক নির্মাণ করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে কয়েকটিতে রং দেওয়া হয়েছিল। তবে সে রং উঠে গেছে।

এক প্রকৌশলী বলেন, দুর্ঘটনা এড়াতে গতিরোধক কোনো সমাধান নয়। কেবল একটি গতিরোধক করে দিলেই হবে না। সেখানে রং না থাকলে দুর্ঘটনা আরও বাড়বে। এ ব্যাপারে চালক ও নাগরিকদের সচেতন হতে হবে। করপোরেশনের নজরদারি বাড়াতে হবে। সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবদুল মোতালেব হাওলাদার বলেন, নগরীতে স্থানীয় উদ্যোগে গতিরোধক নির্মাণ হয়েছে বেশি। তাই গতিরোধকের সঠিক পরিসংখ্যান নেই। গতিরোধকে রং করার জন্য কোনো বরাদ্দ নেই। একটি প্রকল্প করে রং দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর