মঙ্গলবার, ২৮ জুন, ২০১৬ ০০:০০ টা

ব্যস্ত সড়কের পাশে আবর্জনার ভাগাড়

কাজী শাহেদ, রাজশাহী

ব্যস্ত সড়কের পাশে আবর্জনার ভাগাড়

রাজশাহী মহানগরীর বর্ণালী মোড় থেকে উত্তর দিকে সেনানিবাসের পাশ দিয়ে মালদা কলোনি পর্যন্ত চলে গেছে একটি ব্যস্ত সড়ক। এই সড়কের বসুয়া এলাকায় সুজাউদ্দৌলা কলেজের পাশেই সড়ক ঘেঁষে সিটি করপোরেশনের আবর্জনার ভাগাড়। এটি নিয়ে দুর্ভোগের শেষ নেই পথচারীদের। ভাগাড়টি অন্য এলাকায় সরাতে এলাকাবাসীর দাবি আমলে নিচ্ছে না সিটি করপোরেশন। ফলে নাকে কাপড় গুঁজে চলতে হচ্ছে পথচারীদের। বসুয়া এলাকার বাসিন্দা আবুল কালাম (৫০) বলেন, দিনে রাতে সবসময় আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ময়লা এনে এখানে ফেলে যায় করপোরেশনের ময়লার গাড়ি। এখান থেকে সেগুলো আর সরানো হয় না। ফলে রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে দুর্বিষহ দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে। স্থানীয় জুলফিকার আলী বলেন, ভাগাড়টিতে আবর্জনা রাখার পর সেগুলো আবার প্রতিদিন সিটি হাটের পাশে সিটি করপোরেশনের ভাগাড়ে নিয়ে গিয়ে ফেলার কথা। কিন্তু প্রতিদিন তো দূরের কথা, দু-তিন দিন পরও সেখান থেকে আবর্জনা সরে না। এই সময়ের মধ্যে বাসা-বাড়ির কাঁচা আবর্জনায় পচন ধরে মারাত্মক দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়। শুক্রবার সকালে এ পথে নাকে কাপড় গুঁজে হেঁটে ভাগাড় পার হচ্ছিলেন রহমতুন্নেছা বেগম। তিনি বলেন, এই রাস্তায় চলতে গেলে নাকে কাপড় গুঁজতেই হয়। বর্তমানে মৌসুমি ফলের নানা আবর্জনা কড়া রোদে বাজে একটা দুর্গন্ধের সৃষ্টি করেছে। নিঃশ্বাস নিলেই বমি এসে যায়।

সুজাউদ্দৌলা মহাবিদ্যালয়ের একাদশ শ্রেণির ছাত্র জুবায়ের হাসান বলেন, কলেজের জানালা খোলা অবস্থায় উত্তর দিক থেকে একটু বাতাস গেলেই অসহ্য দুর্গন্ধ লাগে। তখন ক্লাসে বসে থাকা কঠিন হয়ে পড়ে।

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) প্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ মামুন জানান, ওই ভাগাড়টিতে রাজশাহী সেনানিবাস ও নগরীর ১৪, ১৫ এবং ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের সব ময়লা নিয়ে গিয়ে ফেলা হয়। তিনি দাবি করেন, প্রতি রাতে সেখান থেকে আবর্জনা সরিয়ে অন্য স্থানে নেওয়া হয়।

 তবে ভাগাড়ের আবর্জনায় স্থানীয়দের দুর্ভোগের বিষয়টি স্বীকার করে তিনি বলেন, আবর্জনা ফেলার জন্য ফাঁকা জায়গা খোঁজা হচ্ছে। কোনো জায়গা না পাওয়ায় আপাতত সেখানেই ময়লা ফেলা হচ্ছে।

তিনি বলেন, নগরীর কাজলা এলাকায় সিটি করপোরেশনের একটি ভাগাড় করা হয়েছে। সেটি চালু হলে বসুয়ায় আর আবর্জনা ফেলা হবে না।

সর্বশেষ খবর