মঙ্গলবার, ২ আগস্ট, ২০১৬ ০০:০০ টা

রেলস্টেশনের বেহাল দশায় যাত্রী দুর্ভোগ

মহিউদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা

রেলস্টেশনের বেহাল দশায় যাত্রী দুর্ভোগ

স্টেশন প্লাটফরমটি খানাখন্দে একাকার

প্লাটফরমে খানাখন্দ, যাত্রী ছাউনির ছাদ ফুটো হয়ে বৃষ্টির পানি পড়া, দেয়ালের প্লাস্টার-রং খসে পড়া, টয়লেট, বিশ্রামাগার সংকট, অবৈধভাবে টিকিট কেনাবেচা, প্লাটফরম অপরিচ্ছন্নসহ নানা সমস্যায় বেহাল দশা কুমিল্লা রেলস্টেশনের। এতে যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, সাড়ে ১৪০০ ফুট দৈর্ঘ্য স্টেশন প্লাটফরমটি খানাখন্দে একাকার, যাত্রী ছাউনির টিন ফুটো হয়ে বৃষ্টির পানি পড়ছে। একটু বৃষ্টিতেই  পুরো প্লাটফরম পানিতে ভিজে যায়। এতে প্লাটফরমে অপেক্ষমাণ যাত্রীরাও ভিজতে থাকেন।

সূত্রমতে, খানাখন্দে একাকার প্লাটফরমটি ২০১১-১২ অর্থবছরে ৩৮ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতু বিল্ডার্স নামের একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান আধুনিকীকরণের কাজ করে। রেলওয়ের বিভিন্ন কর্মকর্তার দাবি, কাজটি মানসম্পন্ন না হওয়ায় খুব অল্প সময়ের মধ্যে ভাঙন ও খানাখন্দের সৃষ্টি হয়। এ বিষয়ে ঠিকাদার মো. নুরুজ্জামান জানান, চার বছর আগে ৩৮ লাখ টাকা ব্যয়ে প্লাটফরমের সংস্কার কাজটি করেছি। লোহার ট্রলি চলাচলে এবং লোহা জাতীয় মাল লোড-আনলোড করায় ভাঙন ও খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে প্লাটফরমটির যাত্রী ছাউনি নিম্নমানের হওয়ায় ছাদ ফুটো হয়ে বৃষ্টির পানি পড়ে। এমনকি ভবনের দেয়ালে রং করার পর তিন সপ্তাহ না যেতেই খসে পড়ছে প্লাস্টার ও রং। প্লাটফরম অপরিচ্ছন্ন, টয়লেটে দুর্গন্ধ, বিশ্রামাগার সংকট। কুমিল্লা-সিলেটগামী ট্রেন যাত্রী জাহিদ হোসেন বলেন, এ স্টেশন থেকে আমরা প্রায়ই ট্রেনে যাতায়াত করি।

কিন্তু প্লাটফরমে যাত্রীদের বসার কোনো ব্যবস্থা নেই। দীর্ঘদিন ধরে প্লাটফরমটি খানাখন্দে ভরা, বৃষ্টি এলে ঝর ঝর করে ছাউনি দিয়ে পানি পড়ে। ভালো কোনো টয়লেটের ব্যবস্থা নেই। সব মিলে এখানে যাত্রীসেবার কোনো মান নেই। স্টেশন মাস্টার শফিকুর রহমান বলেন, স্টেশন প্লাটফরম খানাখন্দে একাকার, যাত্রী ছাউনির ছাদ ফুটো হয়ে বৃষ্টির পানি পড়ছে, দেয়ালের প্লাস্টার-রং খসে পড়েছে। এসব সমস্যা নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে লিখিত চিঠি দিয়েছি।

সর্বশেষ খবর