রাজধানীর প্রগতি সরণির মধ্য বাড্ডা অংশের ময়লার ভাগাড় মূল রাস্তার এক তৃতীয়াংশ দখল করেছে। দখল করেছে ফুটপাথও। ব্যস্ততম ওই রাস্তা সরু হয়ে এক লেনে পরিণত হচ্ছে। এতে যানবাহন চলাচলে ব্যঘাত সৃষ্টি করছে। লাগছে যানজট। প্রায়ই যানজটের মাত্রা অসহনীয় পর্যায়ে চলে যাচ্ছে। রামপুরা ও বাড্ডা লিঙ্ক রোড দিয়ে আসা যানবাহন ওই অংশ পাড়ি দিতে ঘণ্টাও পার করছে। এ রাস্তাটুকু পার হতে গিয়ে পথচারীসহ যাত্রীদের অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। তবে আপাতত ময়লার ভাগাড় সরানোর কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
প্রগতি সরণির পশ্চিম পাশে বাগদাদ কার ফ্ল্যাশের সামনের রাস্তা এক তৃতীয়াংশ এবং পুরো ফুটপাথে ছড়িয়ে আছে এ ভাগাড়ের অবস্থান। দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ আশপাশের লোকজন। অতিষ্ঠ পথচারীসহ যাত্রীরা। ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ওসমান গনি বলেন, জায়গা না পাওয়ায় আপাতত ময়লার ভাগাড় সরানোর পরিকল্পনা নেই। প্রতিদিনই ময়লা সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। যানবাহন ময়লা ভাগাড়ের কাছে আসতেই দরজা-জানালা বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। পথচারী ও যাত্রীরা নাক চেপে ধরছেন। অতিষ্ঠ হয়ে অনেকে নেমে যাচ্ছেন। কাদা-ময়লায় সড়কের বেহাল দশা। ফুটপাথেও ময়লার স্তূপ, হাঁটার জায়গা নেই। পথচারীরা বলছেন, ময়লার ভাগাড়টি ফুটপাথসহ রাস্তা দখল করেছে। আশপাশ দিয়ে হেঁটে যেতেই উত্কট গন্ধ। এ জায়গাটুকু পার হওয়ার সময় নিঃশ্বাস নিতে পারি না, দম বন্ধ হয়ে আসে। শ্বাসকষ্ট হয়। মাথা ঘোরায়। বমি ভাব আসে। ময়লার ভাগাড় সরাতে সিটি মেয়রকে জানানো হয়েছে। মধ্য বাড্ডার প্রগতি সরণির ৭২/১-এফ প্লটের সামনে ময়লার ভাগাড় থাকায় ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। দুর্গন্ধের কারণে ক্রেতারা দোকান বা মার্কেটে ঢুকতে চান না।
ডিএমপির বাড্ডা ট্রাফিক জোনের পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, ময়লার ভাগাড়ের কারণে সৃষ্ট যানজট মাঝে মাঝে হাতিরঝিল-রামপুরা ব্রিজ পর্যন্ত বিস্তৃত হচ্ছে।