শিরোনাম
মঙ্গলবার, ৩০ আগস্ট, ২০১৬ ০০:০০ টা

ফ্লাইওভারের নিচে চাঁদাবাজির ট্রাকস্ট্যান্ড

আহমদ সেলিম রেজা

ফ্লাইওভারের নিচে চাঁদাবাজির ট্রাকস্ট্যান্ড

গুলিস্তান থেকে যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত ঝকঝকে মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার ঢাকায় চলাচলকারী দূরের যাত্রীদের জন্য আশীর্বাদ হয়ে এসেছে। যাত্রাবাড়ীর অতিচেনা পুরনো যানজটেরও অবসান হয়েছে। কিন্তু ফ্লাইওভারের নিচের ফাঁকা জায়গাজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে নতুন গাড়িজট। খালি রাস্তা ও ফাঁকা জায়গাজুড়ে লাইন দিয়ে রাখা হচ্ছে বাস, মিনিবাস, ট্রাক। এ জন্য আবার চাঁদাও তোলা হচ্ছে। ফলে, উড়াল সড়কের নিচ দিয়ে চলাচলকারী যানবাহন ও যাত্রীদের পোহাতে হচ্ছে নতুন দুর্ভোগ। কিছুদিন আগে ফ্লাইওভারের নিচে সায়েদাবাদে গড়ে ওঠা অবৈধ ট্রাক স্ট্যান্ড প্রশাসন উচ্ছেদ করলেও আবার যথারীতি তা চলে গেছে ট্রাক শ্রমিকদের দখলে। সায়েদাবাদের জনপথ মোড়ে যেখানে একটি ত্রিভুজ সড়ক দ্বীপ হওয়ার কথা ছিল, সেখানে এখন চলছে স্থায়ীভাবে বাস রাখার জন্য ঢালাই দিয়ে পাকা জায়গা নির্মাণের কাজ। এ বিষয়ে জানা যায়, ফ্লাইওভার কর্তৃপক্ষ, স্থানীয় প্রশাসন, বাস মালিক-শ্রমিকসহ সরকারদলীয় স্থানীয় প্রভাবশালী নেতাদের ছত্রছায়ায়ই এসব হচ্ছে। প্রতিদিন গাড়ি রাখার জন্য দিতে হয় ভাড়া ও চাঁদার টাকা। সরেজমিন দেখা যায়, সায়েদাবাদ সিএনজি স্টেশনের পাশে গড়ে উঠেছে অবৈধ ট্রাকস্ট্যান্ড। যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তাসহ প্রতিটি সংযোগ রোডে গড়ে উঠেছে অবৈধ বাস ডিপো ও স্ট্যান্ড। রাস্তাজুড়ে রাখা হচ্ছে বাস-ট্রাক-টেম্পো। যাত্রাবাড়ী-দোলাইপাড়, যাত্রাবাড়ী-শনিরআখড়া, যাত্রাবাড়ী-ডেমরা, যাত্রাবাড়ী-ধোলাইখাল সড়ক জুড়ে একই অবস্থা। যাত্রাবাড়ী-দোলাইপাড় সড়কের এক পাশে মাওয়াসহ বিভিন্ন পরিবহনের গাড়ির অবৈধ পার্কিং ও বাসস্ট্যান্ড। আরেক পাশে টেম্পো, লেগুনা, মিরপুর রুটের ১৫ নম্বর গাড়ির ট্রান্সসিলভা, শিকড়-শিখর ও তুরাগের স্ট্যান্ড। মাওয়া রুটের ও টঙ্গী রুটের পরিবহনের বাস ও মিনিবাসগুলো এখানে অঘোষিতভাবে স্থায়ী ডিপো ও বাসস্ট্যান্ড গড়ে তুলেছে। এতে যেমন যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে, তেমনি এ পথে চলাচলকারীদের হয়রানি ও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। প্রতিবাদ করতে গেলে হেনস্থা হতে হচ্ছে চালক ও শ্রমিকদের হাতে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চালক ও শ্রমিকদের সহজ উত্তর—গাড়িগুলো এখানেই থাকবে, এখান থেকে যাবে কই? ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন বলছে, আমাদের নিয়ন্ত্রণে যেটুকু সেটা আমরা দেখভাল করছি। তবে সড়কের ওপর নিয়ন্ত্রণ সড়ক ও জনপথ বিভাগের।

সড়ক ও জনপথ বিভাগ বলছে, আমাদের কাজ রাস্তা নির্মাণ ও সংরক্ষণ। এসব দেখার দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর। তারা উচ্ছেদে আগ্রহী নয়। কারণ, নেপথ্যে রয়েছে রাজনৈতিক শক্তি।

সর্বশেষ খবর