মঙ্গলবার, ৩০ আগস্ট, ২০১৬ ০০:০০ টা

কীর্তনখোলায় ডুবছে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট

রাহাত খান, বরিশাল

কীর্তনখোলায় ডুবছে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট

উদ্বোধনের আগেই কীর্তনখোলা নদীভাঙনে বিলীন হতে চলছে বিসিসির ১৯ কোটি টাকার ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট

কীর্তনখোলা নদীভাঙনের ফলে বরিশাল নগরীর বেলতলা এলাকায় সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) পানি শোধনাগার ‘ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের’ গাইড বাঁধ নদীগর্ভে চলে গেছে। ১৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত প্লান্টটি উদ্বোধনের অপেক্ষায় ছিল। নদীভাঙনের ফলে প্লান্টটি আদৌ চালু করা যাবে কি-না তা নিয়ে সন্দিহান সংশ্লিষ্টরা। বেলতলা ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের এ অবস্থার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উদাসীনতাকে দায়ী করেছে বিসিসি কর্মকর্তারা। যদিও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর মূল কাজ শুরুর আগে নদী শাসন না করায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। বিসিসির পানি শাখার নির্বাহী প্রকৌশলী কাজী মনিরুল ইসলাম বলেন, সম্প্রতি প্লান্টের গাইড বাঁধের প্রায় ২০ ফুট নদীতে বিলীন হয়ে যায়। প্লান্টের ল্যাবরেটরি কক্ষটিও যে কোনো সময় নদীতে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টটি প্রায় এক বছর আগে থেকে নদীভাঙনের হুমকিতে পড়ে। প্রকল্পটি রক্ষার জন্য বিসিসির পক্ষ থেকে পাউবোর প্রধান দফতরে আবেদন করলে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট ও সংলগ্ন বেলতলা এলাকায় কীর্তনখোলা নদীর ভাঙন রোধে একটি প্রকল্প নেয় পাউবো। কিন্তু ওই প্রকল্প আলোর মুখ না দেখায় ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টটি ভেস্তে যেতে বসেছে। বরিশাল পাউবোর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. রহমান আলী প্রামাণিক বলেন, বেলতলা ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট নদীভাঙনের মুখে পড়ায় ওই পয়েন্টে জরুরি ভিত্তিতে ৬ হাজার জিও ব্যাগ ফেলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ কার্যক্রমে বিলম্বের কারণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আগেই ব্যাগ ফেলার কথা ছিল। কিন্তু ঠিকাদার পাওয়া যাচ্ছিল না। তা ছাড়া পাউবোর টাক্সফোর্স কমিটির সদস্যরা উপস্থিত থেকে ওই ব্যাগ গণনা করবেন, এমন সিদ্ধান্ত ছিল। প্লান্ট রক্ষায় একটি প্রকল্পও নেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান। কীর্তনখোলা নদীর পানি শোধন করে নগরবাসীকে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করার জন্য নগরীর বেলতলা ও রূপাতলীতে পৃথক দুটি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট নির্মাণ করা হয়েছে। এ দুটি প্লান্ট থেকে দৈনিক ১ কোটি গ্যালন বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের কথা।

সর্বশেষ খবর