মঙ্গলবার, ৩০ আগস্ট, ২০১৬ ০০:০০ টা

প্রতিষ্ঠান ও সড়ককেন্দ্রিক ‘ডাস্টবিন যন্ত্রণা’

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

প্রতিষ্ঠান ও সড়ককেন্দ্রিক ‘ডাস্টবিন যন্ত্রণা’

চট্টগ্রাম মহানগরের আমতলা মোড়। মোড়ের পূর্বেই আছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) পরিচালিত দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানের পশ্চিম দেয়াল ঘেঁষেই সড়কের ওপর আছে ডাস্টবিনের দুটি কন্টেইনার।

প্রতিনিয়তই আবর্জনা ভর্তি থাকে এগুলো। কন্টেইনারের আশপাশে সড়কেও জমে থাকে আবর্জনা। প্রতিনিয়তই থাকে উত্কট দুর্গন্ধ। পথচারি, স্থানীয় ব্যবসায়ী, যানবাহনের যাত্রী তো বটেই, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদেরও নাক চেপে ধরে বিদ্যালয়ে যেতে হয়। দীর্ঘদিন ধরে এ ডাস্টবিন দুটি থাকলেও এগুলো সরানোর কোনো উদ্যোগ নেই। ডাস্টবিনের কাছেই ‘কৃষ্ণ কুমারি বালিকা বিদ্যালয়’ ও ‘অপর্ণাচরণ বালিকা বিদ্যালয়’ অবস্থিত।   

কেবল এ দুটি কন্টেইনার নয়, পুরো নগরের ৪১টি ওয়ার্ডের অনেক স্থানেই বিভিন্ন স্বাস্থ্য ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে এবং সড়কের ওপরই তৈরি রাখা হয়েছে স্থায়ী ডাস্টবিন, আছে আবর্জনার কন্টেইনার। এসব ডাস্টবিন আবর্জনার ভাগাড় হওয়ায় পার্শ্ববর্তীদের দুর্ভোগের কারণ হয়ে উঠেছে।

নগরবাসীর অভিযোগ, প্রতিষ্ঠান কিংবা সড়কের ওপর ডাস্টবিন না রেখে, চসিক যদি আশাপাশের কোনো স্থানে স্থাপন করে, তাহলে নাগরিকদের দুর্ভোগ কম হতো। হালিশহর নয়াবাজার এলাকার বাসিন্দা ফাহিম শাহরিয়ার তানিম বলেন, সড়কের ওপর ডাস্টবিন হওয়ায় বাতাসে যেমন গন্ধ ছড়ায়, তেমনি উপচেপড়া বর্জ্যে নষ্ট হয় পরিবেশ। পরিকল্পনা মতে ডাস্টবিন স্থাপিত হলে নাগরিকদের এ বিড়ম্বনা হতো না।

চসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) সুদীপ বসাক বলেন, প্রতিষ্ঠানের সামনে ও সড়কের ওপর থাকা ডাস্টবিনগুলো দীর্ঘদিনের। তবে আবর্জনা অপসারণে বদলে যাচ্ছে আগের সব পদ্ধতি। বর্জ্য অপসারণে মাননীয় মেয়রের ‘ডোর টু ডোর’ পদ্ধতি পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়ন হলে নগরীর কোথাও ডাস্টবিন থাকবে না। তখন পুরো নগর হবে ডাস্টবিন মুক্ত।      

সরেজমিন দেখা যায়, নগরের সিরাজুদ্দৌলা রোডের দিদার মার্কেটের সামনে, স্টেশন রোড, চট্টগ্রাম আদালত ভবন ও জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের প্রধান প্রবেশ পথে, পোস্তারপাড় মোড়, চকবাজার কাঁচাবাজারের মোড়, কাপাশগোলা আবাসিকের ভেতরে ভবনের গেটের সামনে, হালিশহর নয়াবাজার বিশ্বরোড মোড়, স্টিলমিল বাজার, কাঠগড় মোড়, লালদীঘি মোড়ের মহল মার্কেটের সামনে সড়কেই আবর্জনার স্তূপ।  

নগরীতে বর্তমানে চসিকের সাড়ে ১৩শ’ ডাস্টবিন আছে। এসব ডাস্টবিন থেকে প্রতিরাতে ছোট বড় ১৭০টি যানবাহন আবর্জনা সংগ্রহ করে। পরিচ্ছন্ন কাজে নিয়োজিত আছেন চসিকের প্রায় দুই হাজার সেবক। দৈনিক সংগ্রহ করা হয় প্রায় ১২০০ টন আবর্জনা।

সর্বশেষ খবর