মঙ্গলবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

চট্টগ্রামে সড়ক ফুটপাথে ৩১ কাঁচা বাজার

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে সড়ক ফুটপাথে ৩১ কাঁচা বাজার

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) মহানগরে সড়ক ও ফুটপাথে অবৈধভাবে বসা ৩১টি কাঁচাবাজারের তালিকা তৈরি করেছে। এসব বাজার থেকে চসিক কোনো রাজস্ব পায় না। উল্টো বাজারের উচ্ছিষ্টে নোংরা হচ্ছে সড়ক-ফুটপাথ। দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। ভোগান্তিতে পথচারীরা। সৃষ্টি হয় যানজট। তা ছাড়া এসব বাজার থেকে স্থানীয় অনেকেই চাঁদা আদায় করার অভিযোগও আছে। ৬০ লাখ নগরবাসীর জন্য চসিকের অনুমোদিত বাজার আছে মাত্র ১৮টি। এ সুবাধে একটি চক্র নগরের যত্রতত্র অবৈধ বাজার বসিয়েছে। কিন্তু সড়ক-ফুটপাথে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে চসিক প্রাথমিক পর্যায়ে ৩১টি অবৈধ কাঁচাবাজারের একটি তালিকা করে।

অবৈধ বাজারগুলো হলো, কাটগড় রাস্তার পাশের বাজার, বিমানবাহিনীর জহুরুল হক ঘাঁটির পাশের বাজার, স্টিল মিল রাস্তার পাশের বাজার, বেপারিপাড়া রাস্তার পাশের বাজার, আগ্রাবাদ এক্সেস রোড বাজার, টিঅ্যান্ডটি কলোনির সম্মুখে বাজার, মাদারবাড়ি দারোগা হাট রোডের বাজার, সদরঘাটে সিটি কলেজের সম্মুখের বাজার, মেমন হাসপাতালের সামনের বাজার, সিরাজুদ্দৌলা রোডের বাজার, দেওয়ান হাট রেল লাইন সংলগ্ন বাজার, চকবাজার ধোপীর পুল হতে ফুলতলা পর্যন্ত বাজার, পুরাতন চান্দগাঁও থানার পিছনে পাঠাইন্যাগোদার বাজার, জামাল খান রোডে সকাল বেলায় বসানো বাজার, অক্সিজেন মোড়ের বাজার, দেওয়ান হাট ব্রিজ সংলগ্ন রাস্তার ওপর বাজার, মিয়া খান নগর বউবাজার, তুলাতলী জামাই বাজার, আতুরার ডিপো মোড়ের বাজার, ঈদগাঁ রাস্তার মোড়ের বাজার, চালিতাতলী বাজার, রাজাখালী ব্রিজের দক্ষিণ পার্শ্বে সাজেদা সুপার মার্কেট, পাহাড়তলী ঝাউতলা বাজার, মুরাদপুর ১ নম্বর রেল লাইন সংলগ্ন বাজার, পাঁচলাইশ আশেকানে আউলিয়া ডিগ্রি কলেজ সংলগ্ন বেলতলা বাজার, আমান বাজার, ফইল্যাতলী বাজার সংলগ্ন বাজার, সিইপিজেড মোড়ের বাজার, বন্দর টিলা বাজার, আমিন জুট মিলস্ মসজিদের পাশের বাজার, পাহাড়তলী আকবর শাহ মাজার সংলগ্ন বাজার ও মোহরা জানালী হাট সংলগ্ন বাজার। এসবের বাইরেও আরও অবৈধ বাজার রয়েছে। 

স্বাধীনতার দীর্ঘ ৪৫ বছর পার হলেও চসিক বা সিডিএ এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় কোনো উদ্যোগ নেয়নি। বরং এ দুই সংস্থার নাকের ডগায় যে যেখানে যেভাবে পারছে বাজার বসাচ্ছে। ফলে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবাকেন্দিক প্রতিষ্ঠানের সামনে গড়ে ওঠা বাজারগুলোর কারণে ভোগান্তি চরম বেড়েছে।

চসিকের সচিব মোহাম্মদ আবুল হোসেন বলেন, একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে। তবে কেবল বাজার নয়, এখন নগরের ওয়ার্ডভিত্তিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চলছে। ইতিমধ্যে কয়েকটি ওয়ার্ডে অভিযান পরিচালিত হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব ওয়ার্ডের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ হবে। তখন এসব অবৈধ কাঁচাবাজার আর থাকবে না।

সর্বশেষ খবর