মঙ্গলবার, ৪ অক্টোবর, ২০১৬ ০০:০০ টা

রাজা খালে পড়ে আছে তিন কোটি টাকার স্কেভেটর

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

রাজা খালে পড়ে আছে তিন কোটি টাকার স্কেভেটর

কর্ণফুলী নদীর অন্যতম শাখা রাজা খালে তিন কোটি টাকা মূল্যের একটি স্কেভেটর গত ৯ মাস ধরে পড়ে আছে। কাদা পানিতে পড়ে থাকায় মাটি খননের এই মূল্যবান যন্ত্রটি নষ্ট হওয়ার পথে। জলাবদ্ধতা নিরসনে খালের মাটি খননে এটি অত্যাবশ্যকীয় যন্ত্র হলেও দীর্ঘদিন ধরে এটি খালেই পড়ে আছে। দুই কাউন্সিলরের দ্বন্দ্বে খনন করা হয়নি মাটি ও আবর্জনায় ভরা রাজা খালটি। জোয়ারের সময় পানি চলাচল করলেও ভাটার সময় নৌযান চলতে পারে না। একসময়ে নৌ চলাচলের সেই রাজা খাল এখন আবর্জনার স্তূপ। গত রবিবার গিয়ে দেখা যায়, স্কেভেটরটির এক পাশের স্লিপারই নেই। এক পাশের স্লিপারে ফেলে রাখা হয়েছে দুটি স্লিপার। জোয়ারের সময় সেটি পানিতে ভাসলেও ভাটার সময় ঢুকে যায় কাদা মাটিতে। কয়েকজনকে যন্ত্রটির মেরামত করতে দেখা যায়। স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে এটি অবহেলায় পড়ে থাকায় স্কেভেটর থেকে বিভিন্ন যন্ত্রাংশ চুরি হয়েছে। চসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) সুদীপ বসাক বলেন, স্কেভেটরটি দিয়ে রাজা খালে মাটি খননের পর আরও খননের জন্য সেটি অন্যত্র সরানো হয়নি। দীর্ঘদিন পড়ে থাকায় এতে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয় এবং কিছু যন্ত্র নষ্ট হয়। প্রায় ৬ লাখ টাকা ব্যয়ে জাপানের একটি প্রতিষ্ঠান সেটি আবার মেরামত করছে। মেরামত শেষে আবারও মাটি খননে ব্যবহৃত হবে। চাক্তাই শিল্প ও ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক কাউন্সিলর মুহাম্মদ জামাল হোসেন বলেন, যখন স্কেভেটরটি রাজা খালে আনা হয় আমরা ভেবেছিলাম এবার খালটি খনন হবে। ব্যবসায়ীরা আবার নৌপথে মালামাল পরিবহন এবং জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পাবে। চসিকের এক শ্রেণির কর্মকর্তার অবহেলায় খালটি সংস্কার হয়নি। উল্টো এখন তিন কোটি টাকার স্কেভেটরটিই নষ্ট হওয়ার পথে। গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর রাজা খাল খননে যায় স্কেভেটরটি। কিন্তু এক কাউন্সিলরের বাধায় খননকাজ হয়নি। এরপর ৯ মাস পানি ও কাদায় পড়ে থাকায় এটি নষ্ট হওয়ার পথে। ইতিমধ্যে নষ্ট হয়েছে অনেক যন্ত্রাংশ। মরিচা পড়েছে এ খনন যন্ত্রে।

সর্বশেষ খবর