শিরোনাম
মঙ্গলবার, ৪ অক্টোবর, ২০১৬ ০০:০০ টা

খাঁচাশূন্য চিড়িয়াখানায় হতাশ দর্শনার্থী

কাজী শাহেদ, রাজশাহী

খাঁচাশূন্য চিড়িয়াখানায় হতাশ দর্শনার্থী

এএইচএম কামারুজ্জামান চিড়িয়াখানা ও কেন্দ্রীয় উদ্যানের বেহাল দশা। রাজশাহী চিড়িয়াখানা প্রায় খাঁচাশূন্য পড়ে আছে নেই কোনো নাম-ডাকের পশু। এটি বাঘের খাঁচা কিন্তু বাঘ নেই। এখন এই খাঁচাটিকে স্টোররুম হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

উত্তরাঞ্চলের বড় বিনোদন কেন্দ্র রাজশাহীর শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানা ক্রমেই প্রাণিশূন্য হয়ে পড়ছে। কয়েক বছর আগেও পশু-পাখির বিচরণ কেন্দ্র ছিল এ চিড়িয়াখানা। বাঘ, ভাল্লুুক, কুমির, ঘড়িয়াল, হরিণ, সিংহ থেকে শুরু করে ময়ূর এবং হাজারো প্রজাতির বিরল প্রাণী ছিল এখানে। দর্শনার্থীরা তা দেখে আনন্দিত হতেন। তবে এখন চিড়িয়াখানার বেশির ভাগ খাঁচা পড়ে আছে প্রাণিশূন্য। আগের চেয়ে দর্শনার্থী বাড়লেও তাদের নির্মল আনন্দ দিতে পারছে না এ চিড়িয়াখানা। এক যুগে চিড়িয়াখানায় প্রাণীর সংখ্যা অর্ধেকে নেমে এসেছে। বাঘ, সিংহ, মায়া হরিণ থেকে শুরু করে অনেক প্রাণী মারা গেছে। চিড়িয়াখানার ভিতরে অবকাঠামোগত উন্নয়নের পর দর্শনার্থীর সংখ্যা বেড়েছে। তবে প্রাণী না থাকায় দর্শনার্থীরা হতাশ। ২০০৩ সালে রাজশাহী চিড়িয়াখানায় ছিল দুটি সিংহ, একটি বাঘ, ১৯৪টি চিত্রা হরিণ, দুটি মায়া হরিণ, ২৬টি বানর, ৯টি বেবুন, চারটি গাধা, দুটি ভাল্লুক, একটি ঘোড়া, দুটি সাদা ময়ূর, তিনটি দেশি ময়ূর, ৮৫টি তিলা ঘুঘু, ৬৮টি দেশি কবুতর, ২৮টি বালিহাঁস, দুটি ওয়াকপাখি, পেলিকেন, টিয়া, ভুবন চিল, বাজপাখি, হাড়গিল, হুতুম পেঁচা, শকুন, উদিবড়াল, ঘড়িয়াল ও একটি অজগর। এখন এসব প্রাণীর অর্ধেকও নেই। সিংহ, ময়ূর, বাঘের খাঁচা ফাঁকা পড়ে আছে। চিত্রা হরিণ কমে পাঁচ ভাগেরও নিচে নেমেছে। কমেছে বেবুন, ঘড়িয়াল, ভাল্লুুকের সংখ্যা। কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানার তত্ত্বাবধায়ক আবদুল হাই জানান, শুধু প্রাণী আমদানি করলেই হবে না, তাদের জন্য পর্যাপ্ত জায়গা এবং একটি পুরুষ ও একটি মেয়ে প্রাণী রেখে আন্তঃ প্রজননের ব্যবস্থা করতে হবে। এসব না করা হলে অল্প বয়সেই প্রাণীরা মারা যাবে। এদিকে অবকাঠামোগত উন্নয়নের পর এ চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থী বেড়েছে।

ফলে লাভের পরিমাণও বেশি হচ্ছে। বেড়েছে টিকিটের দামও। তবে কাঙ্ক্ষিত প্রাণী না থাকায় দর্শনার্থীরা হতাশা নিয়ে ফিরে যাচ্ছেন। নগরীর উপশহর এলাকার আঞ্জুআরা চিড়িয়াখানায় ঘুরতে এসে জানান, ‘বড় প্রাণী চিড়িয়াখানায় নেই বললেই চলে। ঘুঘু, কবুতরের মতো সাধারণ পাখি দিয়ে খাঁচা ভরে রাখা হয়েছে। বাচ্চাদের প্রাণী সম্পর্কে ধারণা দেওয়া যাবে এমন কোনো প্রাণী এখন আর চিড়িয়াখানায় নেই।’ বিরল সব পশু-পাখি না থাকায় তারাও হতাশ হন।

সর্বশেষ খবর