মঙ্গলবার, ৪ অক্টোবর, ২০১৬ ০০:০০ টা

ভোগান্তির নাম পেডেস্ট্রিয়ান ক্রসিং

সামসুজ্জামান শাহীন, খুলনা

ভোগান্তির নাম পেডেস্ট্রিয়ান ক্রসিং

জার্মানির আদলে প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে খুলনায় গুরুত্বপূর্ণ ২৩টি সড়ক মোড়ে নির্মাণাধীন ‘পেডেস্ট্রিয়ান ক্রসিং’ বা ‘পথচারী পারাপার’ এখন নগরবাসীর ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মূল সড়ক থেকে ক্রসিংগুলো প্রায় ১ ফুট উঁচু ও ৮/৯ ফুট চওড়া হওয়ায় এতে ওঠানামায় ভোগান্তিতে পড়ছেন যানবাহন চালকরা। ক্রসিংয়ের সঙ্গে সমতা রেখে অনেক স্থানে ঢাল নির্মাণ না হওয়ায় বড় যানবাহন তাতে আটকে যাচ্ছে। ছোট রিকশাভ্যান ঠেলে নিয়ে পার হতে হয় চালকদের। ক্রসিং নির্মাণের পর ওই সব এলাকায় যানজট বেড়েছে, ঘটছে দুর্ঘটনা। দুই পাশে বৃষ্টির পানি জমে সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। সিটি করপোরেশন বলছে, শারীরিক প্রতিবন্ধীরা হুইলচেয়ারে করে সহজেই ক্রসিং দিয়ে রাস্তা পার হতে পারবে। একই সঙ্গে এটি গাড়ির গতিরোধকেরও কাজ করবে। প্রতিবন্ধী, বৃদ্ধ ও শিশু-কিশোরদের সহজে রাস্তা পারাপারের জন্য নগর অঞ্চল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় জার্মানির কেএফডব্লিউ ব্যাংকের অনুদানে খুলনা সিটি করপোরেশন এগুলো নির্মাণ করছে। স্থানীয়রা বলছেন, ক্রসিং নির্মাণের পর সুবিধা থেকে অসুবিধাই হচ্ছে বেশি। নগরীর ব্যস্ততম খানজাহান আলী রোডের ফরাজীপাড়া ফুল মার্কেট ও শান্তিধাম মোড়ের কাছে চারদিক থেকে আসা সড়কের মাঝ বরাবর ‘পেডেস্ট্রিয়ান ক্রসিং’ নির্মাণ করা হয়েছে। ফলে এ দুটি মোড়ে সকাল ও সন্ধ্যায় তীব্র যানজট হচ্ছে। একই সড়কে রয়েল হোটেলের বাউন্ডারি দেয়াল থেকে সড়কের ওপর পাশে ক্রসিং নির্মাণ করা হলেও সেখানে চলাচলের জন্য ফুটপাথই নেই। নগরীর বয়রা মোড়ে একই স্থানে স্বল্প ব্যবধানে পরপর কয়েকটি ক্রসিং নির্মিত হওয়ায় ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। দেশে এ ধরনের ‘পথচারী পারাপার’ ব্যবস্থা এটাই প্রথম। তবে ভুল নকশা ও ধীরগতির কাজে এই ক্রসিং এখন নগরবাসীর গলার কাঁটায় পরিণত হয়েছে। নাগরিক নেতা অ্যাডভোকেট কুদরত-ই খুদা জানান, ক্রসিংগুলো সম্পূর্ণ অপরিকল্পিতভাবে নির্মাণ করা হয়েছে। এতে যানবাহন চালকদের পাশাপাশি নগরবাসীও ভোগান্তিতে পড়েছেন। খুলনা সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র মো. আনিছুর রহমান বিশ্বাষ বলেন, জার্মানির অর্থায়নে ক্রসিংগুলো নির্মাণ করা না হলে টাকা ফেরত চলে যেত। তিনি বলেন, নির্মাণকালে নগরবাসীর সাময়িক অসুবিধা হলেও পরবর্তীতে এর সুফল সবাই ভোগ করবে।

সর্বশেষ খবর