মঙ্গলবার, ২৫ অক্টোবর, ২০১৬ ০০:০০ টা

খুলনায় মশার তেলে তেলেসমাতি

শামসুজ্জামান শাহীন, খুলনা

খুলনায় মশার তেলে তেলেসমাতি

খুলনায় দিনে-রাতে মশার কামড়ে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন নগরবাসী। বাসা-বাড়িতে সবসময় মশার কয়েল জ্বালিয়ে রাখতে হয়। কোটি কোটি টাকা ব্যয় করেও মশা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হচ্ছে সিটি করপোরেশন। নিম্নমানের ওষুধ ক্রয়, অনিয়ম, অপরিচ্ছন্ন ড্রেন ও জবাবদিহিতার অভাবে মশা নিধন হচ্ছে না। গত সেপ্টেম্বর মাসে সিটি করপোরেশনের গোডাউনে থাকা ‘দি লিমিট এগ্রো প্রোডাক্টস’-এর মশক নিধনের ওষুধের মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। পরীক্ষার পর তা ভেজাল প্রমাণিত হওয়ায় ওই কোম্পানির সরবরাহ করা ২ হাজার লিটার লার্ভিসাইড ওষুধ ফেরত দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ গেছে দুর্নীতি দমন কমিশনেও। বর্তমানে ডিজেল ও কেরোসিনের সঙ্গে ‘সাইফার মেথ্রিন’ নামের এক ধরনের কীটনাশক মিশিয়ে নিজেরাই মশক নিধনের ওষুধ তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে সিটি করপোরেশন। তবে দীর্ঘমেয়াদি পরীক্ষা ছাড়া এ ধরনের ওষুধ ব্যবহারে মানবদেহের ক্ষতি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে শুরুতেই।

সিটি করপোরেশন ইতিমধ্যে এ ব্যাপারে দরপত্র আহ্বান করেছে। রাজশাহী থেকে তৈরিকৃত ওষুধের দুজন প্রশিক্ষক এনে সিটি করপোরেশনের কয়েকজন কর্মচারীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। নতুন ধরনের এই ওষুধ তৈরির জন্য ডিজেল ও কোরোসিন সরাসরি পেট্রোলিয়াম ডিপো থেকে সংগ্রহ করা হবে। আর ‘সাইফার মেথ্রিন’ কেনা হবে দরপত্রের মাধ্যমে। সিটি করপোরেশনের কর্মচারীরাই নির্ধারিত পরিমাণে উপকরণ মিশিয়ে এই ওষুধ বানাবেন। গত তিন অর্থবছরে মশক নিধনে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৬ কোটি ৬০ লাখ টাকা। প্রতি বছর বিপুল অর্থ ব্যয় করেও মশার প্রকোপ কমাতে পারেনি কেসিসি। নগরীর ১ নং ওয়ার্ডের মহেশ্বরপাশা বণিকপাড়া মেইন রোডের বাসিন্দা জাহানারা বেগম বললেন, ‘বাসা-বাড়িতে দিনে-রাইতে খালি মশা। এটটু ওষুধ পানি দেয় না। ঠিকমতো ড্রেনও পরিষ্কার করে না।’

কেসিসির মেয়র (ভারপ্রাপ্ত) আনিছুর রহমান বিশ্বাস জানান, প্রাথমিকভাবে তৈরি করা ওষুধে শতভাগ মশা মারা গেছে। এটি মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর কিনা এ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তাই ওষুধ প্রয়োগের আগে তা পরীক্ষা করে দেখা হবে।

সর্বশেষ খবর