মঙ্গলবার, ২২ নভেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

নগরীর বিষফোঁড়া দুই বাসস্ট্যান্ড

শাহজাদা মিয়া আজাদ, রংপুর

নগরীর বিষফোঁড়া দুই বাসস্ট্যান্ড

রংপুর নগরীর মেডিকেল মোড়ে বাসস্ট্যান্ডের বাসগুলো প্রতিদিন এমনি করেই সড়ক দখল করে যাত্রী ওঠা-নামা করা হয়

যানজট নিরসনে নগরীর প্রধান সড়ক চারলেনে উন্নীত করা হলেও দুর্ভোগ পিছু ছাড়ছে না নগরবাসীর। মোটর মালিক সমিতি জনবহুল ও ব্যস্ততম এলাকায় প্রধান সড়কের পাশে দুটি বাসস্ট্যান্ড গড়ে তোলায় নগরবাসীর ভোগান্তি আরও বেড়েছে। বাসস্ট্যান্ড দুটি কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানানো হলেও কোনো পদক্ষেপই নিচ্ছে না সিটি করপোরেশন এবং জেলা মোটর মালিক সমিতি।

যানজট নিরসন ও জনগণের চলাচলের সুবিধার্থে ১২৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৬ দশমিক ২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়ককে চারলেনে উন্নীত করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বছরের ১৪ জুলাই গণভবন থেকে সড়কটির উদ্বোধন করেন। রংপুর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থাকলেও জেলা মোটর মালিক সমিতি নগরীর কলেজ রোডে এবং মেডিকেল মোড়ে দুটি বাসস্ট্যান্ড গড়ে তোলে। কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাটগামী বাসগুলো কলেজ রোডের বাসস্ট্যান্ড থেকে এবং দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড় ও নীলফামারীগামী বেসরকারি ও বিআরটিসি বাসগুলো মেডিকেল মোড় স্ট্যান্ড থেকে চলাচল করে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মোড়টি বাসের দখলে থাকে। এই স্ট্যান্ডসংলগ্ন রংপুর ক্যান্টনমেন্ট পরিচালিত দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। স্কুল শুরু এবং ছুটির সময় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়। এই মোড়টিকে ‘বিপজ্জনক মোড়’ চিহ্নিত করেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ।  

এক সরকারি কর্মকর্তা বলেন, তার দুই ছেলে ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। বাসগুলো সড়ক বন্ধ করে যাত্রী ওঠানামা করে থাকে। দুই ছেলেকে ঝুঁকির মধ্যে স্কুলে আনা-নেওয়া করতে হয়। অপরদিকে কলেজ রোড বাসস্ট্যান্ডের অদূরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ও কারমাইকেল কলেজ। সড়কটি বাসের দখলে থাকায় যানবাহনসহ পথচারীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়।  মহানগর নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আনোয়ার হোসেন বাবলু বলেন, বাসস্ট্যান্ড দুটি কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে সরিয়ে নিতে সিটি মেয়রের কাছে আবেদন করা হলেও কোনো ফল হচ্ছে না। জেলা মোটর মালিক সমিতির সভাপতি আবু আজগার আহমেদ পিন্টু বলেন, যাত্রীরা কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ডে যেতে চায় না। যাত্রীদের সুবিধার জন্যই স্ট্যান্ড দুটি করা হয়েছে। সিটি করপোরেশনের মেয়র সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু বলেন, বাসস্ট্যান্ড দুটি মূল নগরীর বাইরে স্থানান্তর করার বিষয়ে মোটর মালিক সমিতির সঙ্গে আলোচনা চলছে। শিগগিরই একটা ব্যবস্থা হয়ে যাবে। 

সর্বশেষ খবর