মঙ্গলবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

যানবাহনের দখলে সম্প্রসারিত সড়ক

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

যানবাহনের দখলে সম্প্রসারিত সড়ক

চট্টগ্রাম মহানগরের আন্দরকিল্লা থেকে লালদীঘি পাড় পর্যন্ত সড়ক সম্প্রসারণ করা হয় স্বাচ্ছন্দ্যে যানবাহন চলাচলের জন্য। কিন্তু এ সড়কের দুই পাশই প্রতিনিয়ত থাকে প্রাইভেট কারের দখলে। নগরের প্রবর্তক মোড় থেকে দুই নম্বর গেট সড়কটি সম্প্রসারণ করা হয়। এ সড়কও প্রায় দখলে থাকে প্রাইভেট কার ও অটোরিকশার। তা ছাড়া নগরীর কোতোয়ালি মোড় থেকে ফিরিঙ্গি বাজার পর্যন্ত সড়কটিও সম্প্রসারণ করা হয়। এ সড়ক দখলে থাকে মৌসুমি ফলবাহী ট্রাক, প্রাইভেট কার ও অটোরিকশার। 

এভাবে নগরীর অন্তত সম্প্রসারিত ১০টি সড়কের সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। প্রতিনিয়ত বাড়ছে দুর্ভোগ। কমছে না যানবাহন ও পথচারীদের ভোগান্তি। স্বাভাবিকভাবে যান চলাচলের সুবিধার্থে নগরীর বিভিন্ন সড়ক সম্প্রসারণ করা হলেও সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। কেবল যানবাহন নয়, সম্প্রসারিত সড়ক দখল করে ভাসমান দোকান, গাড়ির গ্যারেজ, যত্রতত্র যানবাহন পার্কিং, স্টেশন বানানো, বিভিন্ন মালামাল ফেলে রাখাসহ নানাভাবে সড়কগুলোকে অব্যবহৃত রাখা হয়েছে। সম্প্রসারিত সড়কের মধ্যে আছে পোর্ট কানেটিং রোড, ২ নম্বর গেট-অক্সিজেন মোড়, মুরাদপুর-অক্সিজেন মোড়, বহদ্দারহাট মোড়-কালুরঘাট, বহদ্দারহাট-কালুরঘাট পর্যন্ত আরাকান সড়ক, আন্দরকিল্লা থেকে চকবাজার, চকবাজার-বহদ্দারহাট মোড়, চকবাজার-গণি বেকারি মোড়, প্রবর্তক মোড় থেকে ২ নম্বর গেট, ২ নম্বর গেট থেকে অক্সিজেন মোড়সহ বিভিন্ন সড়ক। জানা যায়, নগরীর এসব সড়ক সম্প্রসারণ করে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক)। নিয়ম মতে, সম্প্রসারিত সড়কগুলো চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) কাছে হস্তান্তর করা হয়। কিন্তু সুষ্ঠু তদারকি না থাকায় সড়কগুলো যথাযথ ব্যবহার করা যাচ্ছে না। অধিকাংশ সড়কই অর্ধেক ব্যবহার হচ্ছে।

চসিকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শানজিদা শারমীন বলেন, সড়কের এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে আমরা নিয়মিত অভিযান চালাই। তবে অনেক সময় অভিযানের পরও তারা আবার এসে দখল করে। তাদের কারণেই সম্প্রসারিত সড়কের সুফল পাচ্ছে না জনগণ।  নগরবাসীর অভিযোগ, গত ১০ বছরে নগরীর বেশকিছু সড়ক সম্প্রসারিত হয়। কিন্তু এসব সড়কের অধিকাংশই অর্ধেক ব্যবহার হচ্ছে। চসিক এসব সড়ক যদি যথাযথ তদারকি করে ব্যবহার উপযোগী রাখত, তাহলে নগরীর যানজট যেমন কমত, তেমনি সড়কগুলোরও যথাযথ ব্যবহার হতো। কোটি কোটি টাকা খরচ করে সম্প্রসারণ করা সড়ক এখন অনেকটা অব্যবহৃতই থেকে যাচ্ছে।      

নগরীর গুরুত্বপূর্ণ চকবাজার থেকে আন্দরকিল্লা মোড়। এখানে আন্দরকিল্লা মোড় থেকে সিরাজ-উদ্দৌলা রোড পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে আছে কাঁচাবাজার। এর সঙ্গে থাকে প্রাইভেট যানবাহন। ফলে সম্প্রসারিত সড়কের কোনো সুফল পাওয়া যায় না।   

এদিকে মুরাদপুর-অক্সিজেন মোড় পর্যন্ত সড়কটি সম্প্রসারণ করা হয়। কিন্তু এই সড়কের দুই পাশে যত্রতত্র রাখা হয় যানবাহন। মুরাদপুর রেলগেটের দুই পাশে রয়েছে স্ক্রাপের দোকান। এসব দোকানের মালামাল রাখা হয় সামনের সড়কে। একই সঙ্গে আতুরারডিপো থেকে অক্সিজেন মোড় পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে থাকে ট্রাকের সারি। ফলে সড়কে প্রতিনিয়ত লেগে থাকে যানজট।

সর্বশেষ খবর