মঙ্গলবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

নান্দনিক শহরের বিবর্ণ ভাস্কর্য

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

নান্দনিক শহরের বিবর্ণ ভাস্কর্য

চট্টগ্রাম মহানগরের লালখান বাজারের ইস্পাহানি মোড়। ২০১১ সালে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের সময় বসানো হয়েছিল দুই ক্রিকেটারের ভাস্কর্য। কিছু দিন পর ভেঙে যায় এদের হাত। পরে বিবর্ণ হয়। এক সময় একটি ভাস্কর্য নাই হয়ে যায়। বর্তমানে ভঙ্গুর একটি ভাস্কর্য আছে। তবে অনেকটাই ধূসর। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) এ ভাস্কর্য স্থাপন করে। 

নগরের নিমতলা মোড়। জাতীয় দলের ১১ ক্রিকেটারের প্রতীকী স্মারক স্থাপন করা হয়। কিন্তু পরবর্তীতে এসব নান্দনিক স্মারক ধূসর হয়ে যায়। উঠে যায় রং। জমা হয়েছে আবর্জনা। কোনোটির ভেঙে গেছে ব্যাট। কোনোটিতে নেই খেলোয়াড়ের হাত। ভেঙে গেছে টাইলস আর স্টিল স্ট্রাকচার। নগরীর ব্যস্ততম এলাকা জিইসি মোড়ে ২০১১ সালে স্থাপন করা হয়েছিল দৃষ্টিনন্দন আলো ঝলমলে ফোয়ারা। পরিচর্যার অভাবে চুরি হয় লাইটগুলো। বর্তমানে এটি আবর্জনার ভাগাড়। এভাবে ২০১১ সালে বিশ্বকাপ ক্রিকেটকে সামনে রেখে নগরীর সৌন্দর্যবর্ধক নানা স্থাপনা, স্মারক ও ঐতিহ্যের চিহ্নগুলো অবহেলা অযত্নে নষ্ট হয়ে যায়। বিবর্ণ হয় নগরের নান্দনিক ভাস্কর্য। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছে দেশের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও স্মারক উপস্থাপন করা এসব স্থাপনা কর্তৃপক্ষের অসচেতনতায় নষ্ট হয়ে আছে। নগরবাসীর অভিযোগ, ২০১১ সালে স্থাপিত ভাস্কর্যগুলো দিয়ে দেশ ও চট্টগ্রামের নানা স্মৃতি স্মারক তুলে ধরা হয়েছিল। কিন্তু তদারকির অভাবে এসব স্মারক নষ্ট হয়ে যায়। অথচ এসব স্থাপনা রক্ষায় কার্যকর উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না।  চসিকের সচিব মোহাম্মদ আবুল হোসেন বলেন, নগরকে সাজানোর জন্য নতুন করে সৌন্দর্যবর্ধন ও আলোকায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে নানা পরিকল্পনাও হাতে নেওয়া হয়েছে। আশা করছি, নতুন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে এসব সৌন্দর্য আবার ফিরে আসবে। চসিক সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালে বিশ্বকাপকে সামনে রেখে চসিক প্রায় ৪১ কোটি টাকা খরচ করে চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে সাজসজ্জা করেছিল। স্থাপন করা হয়েছিল নানা ভাস্কর্য। সেসবের অধিকাংশই এখন ধূসর, বিবর্ণ।

সর্বশেষ খবর