মঙ্গলবার, ১০ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

মামলা জটিলতায় আউটার রিংরোড প্রকল্প

সাইদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম

মামলা জটিলতায় আউটার রিংরোড প্রকল্প

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) উদ্যোগে ‘চিটাগাং সিটি আউটার রিং রোড’ প্রকল্পের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। আগামী জুনে সড়কটি চলাচলের জন্য খুলে দেওয়ার কথা। কিন্তু এ প্রকল্পের কাজ শেষ হলেও ৩ বছর ধরে দালালচক্রের মামলায় আটকে আছে ভূমি মালিকদের ক্ষতিপূরণের প্রায় ৩০০ কোটি টাকা। এ টাকার আশায় তিন বছর পার করলেন     ভূমি মালিকরা।

অভিযোগ আছে, মামলার কারণে ক্ষতিপূরণের টাকা দিতে পারছে না চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। তবে এ প্রকল্পের ক্ষতিপূরণের টাকা নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িত ‘কুশীলব’রা আবারও জেলা প্রশাসনের এল এ শাখায় ফিরে আসার চেষ্টায় তত্পর রয়েছেন। প্রকল্পটি বাংলাদেশ সরকার ও জাইকার অর্থায়নে সম্পন্ন হচ্ছে।

সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুস ছালাম বলেন, চিটাগাং সিটি আউটার রিং রোডের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে যানবাহন চলাচলও করছে।

তিনি বলেন, পাঁচটি বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে এ সড়কটি করা হচ্ছে। জলোচ্ছ্বাস থেকে শহর রক্ষা, পর্যটন শিল্পের বিকাশ, যানজটমুক্ত শহর, উপ-শহর গড়ে তোলা এবং টানেলের এপ্রোচ রোড তৈরি করা। সবমিলিয়ে একসঙ্গে ১০ হাজার পর্যটক সমুদ্র বিনোদন করতে পারবেন। তবে ২০১৮ সালের মধ্যে চূড়ান্ত কাজ শেষ হবে বলে আশা করছি। তিনি বলেন, সুবিধাভোগী চক্রকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা উচিত।

একজন জমির মালিক বলেন, মামলা দায়েরকারী লোকজন কেউ ভূমির মালিক নন। আসল মালিকরা যাতে ক্ষতিপূরণ না পায় সে জন্য মামলা দিয়ে বিলম্ব করছে। জমির মালিকানা নির্ণয়ে আরএস, পিএস ও বিএস জরিপ থাকা বাধ্যতামূলক হলেও তাদের সেসব নেই। এ ছাড়া এল এ শাখার কিছু সাবেক কর্মচারী এর পেছনে কলকাঠি নাড়ছেন। তিনি বলেন, প্রকল্প এলাকায় একটি দালাল চক্র রয়েছে। যারা ভূমি মালিকদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালায়। না দিলেই মামলা দিয়ে টাকা পরিশোধ আটকে দেয়।

ভূমি মালিক আবদুস সাত্তার বলেন, দালালরা আমার কাছে মোট মূল্যের ৩০ থেকে ৪০ ভাগ টাকা দাবি করছে। কিন্তু আমরা দিতে রাজি না হওয়ায় তারা মামলা দিয়ে টাকা আটকে দিয়েছে। এ ছাড়া তারা সব ভূমির জন্যই মামলা করছে। যা কখনো প্রযোজ্য হতে পারে না। সব ভূমির মালিক তো তারা নয়। আমাদের একটাই দাবি—শত শত মালিক অনেক কষ্টে আছি। দ্রুত আমাদের ক্ষতিপূরণ চাই।

সর্বশেষ খবর