বুধবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

সড়কে নির্মাণসামগ্রী রাখায় জনদুর্ভোগ

শাহজাদা মিয়া আজাদ, রংপুর

সড়কে নির্মাণসামগ্রী রাখায় জনদুর্ভোগ

রংপুর নগরীর কামাল কাছনায় সড়কে নির্মাণসামগ্রী রেখে বহুতল ভবন নির্মাণ করায় প্রতিনিয়ত যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে

রংপুর নগরীর প্রধান সড়কসহ অলিগলির সড়কে নির্মাণসামগ্রী রেখে ভবন নির্মাণ করায় পদে পদে বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছে পথচারী ও যানবাহন চালকরা। এতে অনেক ক্ষেত্রে দুর্ঘটনা ঘটছে। বিনষ্ট হচ্ছে সামাজিক পরিবেশ।

গণ উপদ্রব (পাবলিক ন্যুইসেন্স) আইন অনুযায়ী সড়কে ইট, বালু, পাথর, সুরকি ও সিমেন্ট রেখে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারীর জেল-জরিমানা এবং মালামাল জব্দ করার বিধান রয়েছে। কিন্তু রংপুর সিটি করপোরেশন এলাকায় ভবন নির্মাণকারীরা এ আইন মানছে না। আইন ভঙ্গকারীর বিরুদ্ধেও কোনো ব্যবস্থাও নিচ্ছে না সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ। 

নগরীর কামাল কাছনা, ধাপ, কলেজ পাড়া, মুন্সিপাড়া, জুম্মাপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকা সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ভবন নির্মাণকারীরা আইনের তোয়াক্কা না করে সড়কে ইট, বালু, পাথর, সুরকি ও সিমেন্ট রেখে ভবন নির্মাণ করায় দুর্ভোগের মুখে চলাচল করছে মানুষ ও যানবাহন। নগরীর কামাল কাছনা এলাকায় জি এল রায় রোডে পাথর, বালু ও সিমেন্ট রেখে বহুতল ভবন নির্মাণ করছেন কয়েকজন ব্যক্তি। ফলে ওই সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। একই অবস্থা ব্যস্ততম ধাপ এলাকাতেও। ধাপ এলাকার নির্মাণাধীন এক ভবনের মালিক বলেন, সবাই সড়কে ইট, বালু, পাথর ও সিমেন্ট রেখে কাজ করছেন বলে তিনিও রেখেছেন। গণ উপদ্রব আইন সম্পর্কে তার কোনো ধারণাই নেই বলে জানান তিনি। মহানগর নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আনোয়ার হোসেন বাবলু বলেন, নগরীর সর্বত্র সড়কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে রাখা হলেও ভবিষ্যতে ভোটের আশায় মেয়র কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না।    

রংপুর সিটি করপোরেশনে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এমদাদ হোসেন বলেন, জনগণের চলাচলের পথ উন্মুক্ত রাখতে হবে। কোনোভাবেই চলাচলের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না। আইন অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির জেল-জরিমানা ও মালামাল জব্দ করা বিধান রয়েছে। কিন্তু এ আইন কেউ মানছেন না। আইনের প্রয়োগও করা হচ্ছে না। সিটি করপোরেশন মেয়র সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু বলেন, ভবন নির্মাণকারীদের মৌখিকভাবে সড়ক মুক্ত রাখতে বলা হয়। নিজস্ব ম্যাজিস্ট্রেট না থাকায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

সর্বশেষ খবর