বুধবার, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

পাকা সড়কের নিচে জিরানি খাল

আলী রিয়াজ

পাকা সড়কের নিচে জিরানি খাল

সরকারি সিদ্ধান্তে রাজধানীর খালগুলো উদ্ধার করতে বিশেষ প্রকল্প নেওয়া হলেও এই প্রকল্পের বাইরে থাকছে সায়েদাবাদের জিরানি খাল। ২০০৪ সালে বক্স কালভার্ট করে ঢেকে দেওয়া খাল আর উদ্ধার করা হবে না। বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একইসঙ্গে রাজধানীর ধোলাইপার কুতুবখালী খাল উদ্ধার শুরু হয়ে দীর্ঘদিন ধরে থেমে আছে। কোনো কার্যক্রম এখন আর নেই।

সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী এলাকার একটি বড় খাল ছিল জিরানি খাল। সায়েদাবাদের ওয়াসা প্লান্ট থেকে শুরু হয়ে উত্তর যাত্রাবাড়ী, গেন্ডারিয়া হয়ে বুড়িগঙ্গায় মিশেছে এই খাল। ২০০৪ সালে ঢাকা সিটি করপোরেশন বক্স কালভার্ট করে ঢেকে দেয় এই খাল। ওপরে সড়ক নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে পুরোপুরি ব্যস্ত এ সড়কে সায়েদাবাদ ব্রিজ থেকে উত্তর দিকে ধলপুর পর্যন্ত লোকাল, দূরপাল্লার গাড়ি চলাচল করে। দক্ষিণ দিকে ট্রাক, বাসের পার্কিং স্ট্যান্ড। ধোলাইপার হয়ে দয়াগঞ্জ পর্যন্ত খালের ওপরে গাড়ি চলাচল করে। সরকারি সিদ্ধান্তে এই খালটিও উদ্ধার করার পরিকল্পনা রয়েছে। কিন্তু সিটি করপোরেশন এই জিরানি খাল উদ্ধার করবে না। বাস্তবতা বিবেচনায় এই খাল উদ্ধারের পরিকল্পনা থেকে সরে আসা হয়েছে। এ বিষয়ে সায়েদাবাদ এলাকার ৪৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল কালাম অনু বলেন, বর্তমানে জিরানি খাল ব্যস্ত সড়ক। যেভাবে এই সড়ক ব্যবহার করা হয় সেখান থেকে নতুন করে উদ্ধার করা কঠিন। সরকারি নির্দেশনা আছে সে অনুযায়ী দখল হয়ে যাওয়া খালগুলো উদ্ধার প্রক্রিয়া চলছে। তবে জিরানি খালটি উদ্ধার করা সম্ভব হবে বলে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। অন্যদিকে দীর্ঘদিন ধরে কুতুবখালী খাল উদ্ধার ও সংস্কার প্রক্রিয়া থেমে আছে। ধোলাইপার থেকে কুতুবখালী, কাজলা, মাণ্ডা হয়ে বালু নদে মিশেছে এই খাল। ধোলাইপার থেকে কুতুবখালী পর্যন্ত কিছুটা সংস্কার কাজ করে এখন বন্ধ করে রাখা হয়েছে। এই খালের ওপর বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা কয়েকবার উচ্ছেদ করা হয়। বর্তমানে আবারও বিভিন্ন স্থাপনা দিয়ে দখল হয়ে গেছে। কুতুবখালী থেকে কাজলা অংশের খাল দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ দখলদারদের কবলে। কোনো ধরনের উদ্ধার বা সংস্কার কাজই এখানে করা হয়নি। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন অঞ্চল-৫ এর নির্বাহী প্রকৌশলী বোরহান বলেন, কুতুবখালী খাল সংস্কার কাজ বন্ধ আছে। আবার শুরু করা হবে।

সর্বশেষ খবর