বসন্তকালের প্রথম থেকেই কুমিল্লা নগরীতে বেড়েছে মশার উপদ্রব। মশার কামড়ে অতিষ্ঠ নগরবাসী। অনেক এলাকায় নালা-নর্দমা ও অন্যান্য জলাশয় পরিষ্কার না করায় এসব মশার প্রজনন ক্ষমতা বেড়েছে। বাসা-বাড়ি, কর্মস্থল, চলতি পথ কোথাও মশার কামড় থেকে নিস্তার পাওয়া যাচ্ছে না। চিকিৎসকরা জানান, মশা সাধারণত ফুল বা অন্যান্য লতা-পাতা জাতীয় আবর্জনা থেকেই খাদ্য সংগ্রহ করে। পুরুষ মশা রক্ত পান করে না বা কোনো প্রাণীকে আক্রমণ করে না। শুধু স্ত্রী মশা ডিম্বের উর্বরতা বাড়াতে রক্ত পান করে। মশা নোংরা জায়গায় থাকতে ভালোবাসে, কারণ সেখানে এমোনিয়া জাতীয় বিষাক্ত পদার্থ বেশি থাকে। তবে ডিম পাড়ার
আগে স্ত্রী মশারা যে ডোবা, নালা, বদ্ধ জলাশয় অথবা যেখানেই সামান্য পানি জমা থাকবে সেখানে ডিম ছাড়তে যায়। এজন্য মশা বেশি থাকে ঝোপঝাড়ে, কচুরিপানায়, ড্রেনে, জলাশয়ে। সুশাসনের জন্য নাগরিক কুমিল্লা শাখার সহসাধারণ সম্পাদক মায়মুনা আক্তার রুবি বলেন, নগরীতে মশার উপদ্রব বেড়েছে। শেষ কবে মশার ওষুধ স্প্রে করা হয়েছে কেউ বলতে পারবে না। দ্রুত মশা নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন কুমিল্লার সভাপতি ডা. মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, মশার কামড়ে অনেক শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়। মশা নিধনে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের স্যানিটেশন বিভাগকে আরও সচেষ্ট হতে হবে।কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অনুপম বড়ুয়া বলেন, মশার ওষুধ ছিটানোর তেমন যন্ত্রপাতি নেই। যে কোনো ওষুধ ছিটালে পরিবেশের ক্ষতি হবে। মশা নিধনে শিগগিরই আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।