মঙ্গলবার, ১৪ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা

পরিত্যক্ত সেতুতে ঝুঁকিপূর্ণ চলাচল

শাহজাদা মিয়া আজাদ, রংপুর

পরিত্যক্ত সেতুতে ঝুঁকিপূর্ণ চলাচল

রংপুর নগরীর ব্যস্ততম জি এল রায় সড়ক। নগরীর জাহাজ কোম্পানি মোড় থেকে সাতমাথা হয়ে মাহিগঞ্জে গিয়ে ঠেকেছে ছয় কিলোমিটার সড়কটি। সড়কের খাসবাগ এলাকায় খোকসা ঘাঘট নদীর ওপর নির্মিত সেতুটি মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। ১৭ বছর আগে সেতুটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হলেও এখন পর্যন্ত সেটি নতুন করে নির্মাণের কোনো পদক্ষেপ নেই। বাধ্য হয়ে ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন শত শত যানবাহন চলাচল করছে। যে কোনো সময় সেতুটি ধসে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

চল্লিশের দশকে শেষের দিকে তাজহাট রাজা গোপাল লাল রায়ের নামানুসারে সড়কটির নামকরণ করা হয় জি এল রায় সড়ক।

এলাকাবাসীর চলাচলের জন্য ১৯৪০ সালে রাজা গোপাল লাল রায় খোকসা নদীর ওপর সেতুটি নির্মাণ করেন। ইট আর চুন-সুড়কি দিয়ে নির্মিত সেতুটি ২০০০ সালে সাবেক রংপুর পৌরসভা পরিত্যক্ত ঘোষণা করে ‘ভারী যানবাহন চলাচল নিষেধ’ লেখা সাইন বোর্ড লাগিয়ে দিয়েছিল। বর্তমানে সেতুর এক পাশের রেলিং ভেঙে পড়েছে। অসংখ্য ফাটল দেখা দিয়েছে। সেতুতে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ জন্মেছে।

ভারী যানবাহন পারাপারের সময় সেতুটি কেঁপে ওঠে। ২০১২ সালে পৌরসভা সিটি করপোরেশনে উন্নীত হলেও সেতুটি নির্মাণের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন নগরীর যানবাহন ছাড়াও কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট এবং গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ ও সাদুল্যাপুরের যানবাহন চলাচল করে। সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ রেখেই জি এল রায় সড়কটি প্রশস্থ করে সংস্কারের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে।      

নগরীর সাতমাথা এলাকার ট্রাকচালক নুরুজ্জামান মোল্লা জানান, গাড়ির গতি কমিয়ে সেতু পার হতে হয়। আর লালমনিরহাটগামী বাসের চালক মঞ্জু মিয়া বলেন, সেতুটিতে গাড়ি উঠলেই বুকে কাঁপন ধরে যায়। রংপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী আলী আজম বলেন, সেতুটি মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। সেটি ভেঙে নতুন করে একটি আধুনিক সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শিগগিরই দরপত্র আহ্বান করা হবে।

সর্বশেষ খবর