শিরোনাম
মঙ্গলবার, ২১ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা

সিলেটের শ্রী ফেরানোর উদ্যোগ

শাহ্ দিদার আলম নবেল, সিলেট

সিলেটের শ্রী ফেরানোর উদ্যোগ

বিশ্বকবি রবীন্দ্র নাথ ঠাকুর সিলেটকে ‘সুন্দরী শ্রীভূমি’ অভিহিত করে তার কবিতায় লিখেছিলেন, ‘মমতাবিহীন কালস্রোতে/ বাংলার রাষ্ট্র সীমা থেকে/ নির্বাসিতা তুমি/ সুন্দরী শ্রীভূমি.../’। যান্ত্রিক সভ্যতায় বিশ্বকবির সেই শ্রীভূমির নগর এখন অনেকটা শ্রীহীন। দীর্ঘদিন ধরে সৌন্দর্যবর্ধনের কোনো পরিকল্পনা না নেওয়ায় পর্যটননগরী হিসেবে খ্যাত সিলেট পরিণত হয়েছে লাবণ্যহীন ইট-পাথরের নগরীতে। তবে দেরিতে হলেও এবার সিটি করপোরেশন নগরীর শ্রী ফেরাতে কিছুটা হলেও উদ্যোগী হয়েছে।

সিলেটের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য হাতছানি দিয়ে ডাকে পর্যটকদের। এ ছাড়া পুণ্য এ ভূমিতে চিরনিদ্রায় শায়িত রয়েছেন আধ্যাত্মিক সাধক হযরত শাহজালাল ও শাহপরাণ (রহ.)সহ অনেক পীর-আউলিয়া। তাই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অবলোকন ও মাজার জিয়ারতের জন্য সারা বছরই পর্যটকদের ঢল থাকে সিলেটে। কিন্তু পর্যটকদের মুগ্ধতার কথা চিন্তা করে কখনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি নগরীকে সাজানোর।

তবে শেষ পর্যন্ত নগরীর সৌন্দর্যবৃদ্ধির কাজে হাত দিয়েছে সিটি করপোরেশন। দৃষ্টিনন্দন রোড ডিভাইডার ও অচল ফোয়ারাগুলো সচল করাসহ নানা উদ্যোগের নেওয়া হয়েছে। নগরীর সৌন্দর্যবর্ধনে কোটি টাকা ব্যয়ে ইতিমধ্যে বাস্তবায়ন করা হয়েছে কয়েকটি প্রকল্প। পরিকল্পনাধীন রয়েছে আরও প্রায় পাঁচ কোটি টাকার প্রকল্প। এ প্রকল্পগুলো নগরীর শ্রীবৃদ্ধির পাশাপাশি যানজট নিরসনেও ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সিসিক’র প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান বলেন, নগরীর সৌন্দর্যবর্ধনে ইতিমধ্যেই প্রায় কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। আরও পাঁচ কোটি টাকার প্রকল্প পরিকল্পনায় রয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে নগরীর সৌন্দর্য বাড়বে, যান চলাচলেও শৃঙ্খলা ফিরবে।

এদিকে সিলেটকে আরও দৃষ্টিনন্দন করতে সিটি করপোরেশনের এ উদ্যোগ যথার্থ নয় বলে দাবি সুশীল সমাজের। পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণে এখানে নতুন নতুন আরও স্থাপনা নির্মাণের দাবি তাদের। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম সেলিম বলেন, গোটা দেশে পর্যটনের কারণে সিলেটের সুনাম রয়েছে। তবে কখনোই এ নগরীকে সেভাবে সাজানোর পরিকল্পনা করা হয়নি। ইদানীং সিসিক কিছু কাজ করছে। তবে এগুলো পর্যাপ্ত নয়। শহরের মধ্যে দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা করা দরকার, ফোয়ারাগুলোও সচল করতে হবে।

সর্বশেষ খবর