চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পাসপোর্টের পাঁচলাইশ কার্যালয়ে কাজের গতি ও সেবার পাশাপাশি বেড়েছে রাজস্ব আয়ও। দালালমুক্ত পরিবেশ তৈরি হয়েছে অফিসের ভিতরে-বাইরে। পাসপোর্ট অফিসের পরিবেশের পরিবর্তনের পাশাপাশি পাসপোর্ট গ্রাহকদের সেবা এবং রোহিঙ্গা প্রতিরোধে রয়েছে দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের সরাসরি মনিটরিং। এতে গড়ে প্রতিদিন নতুন পাসপোর্ট ইস্যু হচ্ছে সাড়ে ৩০০ থেকে ৪০০। পাঁচলাইশ কার্যালয়ে গত এক বছরে ৯৮ হাজার ৯৫৪টি পাসপোর্ট ইস্যু করা হয়েছে। এ সময় রাজস্ব আদায় হয় ৩৯ কোটি ৭৯ হাজার ৮৯ টাকা। এই আয় ২০১৫ সালের তুলনায় ৭ কোটি ৪৬ লাখ ৩৭ হাজার টাকা বেশি বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান। 

পাঁচলাইশ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপ-পরিচালক শাহ মুহাম্মদ ওয়ালিউল্লাহ বলেন, বর্তমানে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) ইস্যুর কারণে অতীতের চেয়ে অনেক কম সময়ে পাসপোর্ট সরবরাহ করা হয়। তা ছাড়া পাসপোর্ট ইস্যুর সব প্রক্রিয়া ডিজিটাল এবং ডাটাবেজনির্ভর। আবেদনকারী নিজেও মোবাইলে মেসেজে দিয়ে পাসপোর্ট ইস্যুর সর্বশেষ তথ্য জানাতে পারছেন। মেসেজের মাধ্যমে আবেদনকারীরা ফিরতি বার্তা পাচ্ছেন। তিনি বলেন, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতর পাসপোর্ট ইস্যুর ক্ষেত্রে পৃথক তিনটি অফিসের ওপর নির্ভরশীল। ফি জমা দিতে ব্যাংক, পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য পুলিশের সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও পাসপোর্ট সরবরাহের জন্য ডাক বিভাগ। এ অফিসগুলোর কোনো একটির সেবা পেতে দেরি হলে পাসপোর্ট প্রদান প্রক্রিয়ায় বিলম্ব ঘটে। জানা যায়, ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত আবেদন জমা হয় ১ লাখ ৮৩৪টি। এর মধ্যে অফিসিয়াল ৩৪৭টি, সাধারণ ৯৮ হাজার ৬০৭টি, জরুরি ১৪ হাজার ৯৫০টি। তবে পুলিশ প্রতিবেদন বিপক্ষে যাওয়া, তথ্যগত ভুল ও ব্যাংকে ভুল নামে টাকা জমা দেওয়াসহ নানা কারণে ১ হাজার ৮৮০টি আবেদন বাতিল হয়েছে।