মঙ্গলবার, ৪ এপ্রিল, ২০১৭ ০০:০০ টা

রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প প্রতিষ্ঠানের বেহাল দশা

আফজাল, গাজীপুর সিটি

রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প প্রতিষ্ঠানের বেহাল দশা

দুই যুগ ধরে ঢাকা স্টিল ওয়ার্কস কারখানাটি বন্ধ। ফের চালু হলে শত শত বেকার সমস্যা সমাধান হবে

গাজীপুরে বিটিএমসি ও বিএসইসিসহ বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প প্রতিষ্ঠানের বেহাল দশা। কোটি কোটি টাকা মূল্যের ভবন ও যন্ত্রাংশ এখন পোকা মাকড়ে খাচ্ছে। বন্ধ থাকা এসব প্রতিষ্ঠান চালু হলে হাজার হাজার যুবকের বেকারত্ব ঘুচবে। অথচ মন্ত্রণালয়গুলো এ নিয়ে কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। টঙ্গীর চেরাগআলী এলাকায় প্রায় ২০ একর জায়গার ওপর  নির্মিত কাদেরিয়া টেক্সটাইল মিলসের বাণিজ্যিক কার্যক্রম চালু হয় ১৯৬৪ সালে। এরপর কারখানায় লোকসান দেখা দিলে ২০০৭ সালে এটি একেবারে বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। সেই থেকে আজও বন্ধ কারখানাটি। বর্তমানে ওই কারখানার গোডাউন ও জায়গা ভাড়ার টাকায় কারখানাটি দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বেতন হচ্ছে। এদিকে কাদেরিয়া টেক্সটাইলের দক্ষিণ পাশে বিশাল জায়গার ওপর নির্মিত ঢাকা স্টিল ওয়ার্কস লি: কারখানা। এই কারখানায় গিয়ে দেখা যায়, প্রায় দুই যুগ ধরে কারখানার উৎপাদন বন্ধ। কি কারণে বন্ধ, কেন বন্ধ এ বিষয়ে কেউ কিছু বলতে পারছে না। টঙ্গী ভরান এলাকায় অবস্থিত বাংলাদেশ ব্লেড ফ্যাক্টরি। দীর্ঘদিনের পুরনো মেশিনে চাহিদা মোতাবেক উৎপাদন, গুণগতমান ও বাজারজাতকরণে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ না থাকায় দিন দিন লোকসান গুনছে প্রতিষ্ঠানটি। অপরদিকে শ্রমিক মালিকানায় হস্তান্তরকৃত নিউ মন্নু ফাইন কটন মিলস ও নিউ অলিম্পিয়া টেক্সটাইল মিলস বন্ধ। তবে মেঘনা টেক্সটাইল মিলস জোড়াতালি দিয়ে কোনো মতে চলছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্লেড কারখানার শ্রমিক ইউনিয়ন নেতা শাহ আলম বলেন, পুরনো মেশিন, গ্যাসের চাপ কম থাকাসহ বিভিন্ন কারণে কারখানাটি লোকসানের মুখে। এভাবে চললে এক পর্যায়ে বন্ধ হওয়ার উপক্রম হবে। কাদেরিয়া টেক্সটাইলস মিলসের ম্যানেজার মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের (পিপিপি) মাধ্যমে কারখানাটি পুনরায় চালুর প্রক্রিয়া চলছে। আগামী এক বছরের মধ্যে চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নিউ মন্নু ফাইন কটল মিলসের এমডি মো. মিজানুর রহমান বলেন, বিটিএমসি এই কারখানাটি ২০০১ সালে শ্রমিক মালিকানায় হস্তান্তর করেন। সেই সময় একটি মূল্য নির্ধারণ ও বকেয়া কিছু ঋণ চাপিয়ে দেওয়া হয়। ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে পুরনো মেশিন দিয়ে কারখানাটি কিছুদিন চালানোর পর তা বন্ধ হয়ে যায়। দিন দিন ঋণের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় কারখানা নির্ধারিত মূল্য পরিশোধ করা সম্ভব হয়নি। ফলে কারখানাটির মালিক এখনো বিটিএমসি। বিটিএমসি যদি ঋণ মওকুফ করে দেয় তাহলে আমরা কারখানার নির্ধারিত মূল্য পরিশোধ করে নতুনভাবে চালু করলে কর্মচাঞ্চল্য ফিরে আসবে। এ ব্যাপারে সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত বাংলাদেশ ব্লেড ফ্যাক্টরির এমডি এসএম নইমুল হাসান বলেন, আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর উন্নয়নের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। মার্কেটিং ভালো হলে আমাদের অবস্থান ফিরে আসবে। দীর্ঘদিনের পুরনো মেশিনের কারণে একটু সমস্যা হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর