মঙ্গলবার, ১৮ এপ্রিল, ২০১৭ ০০:০০ টা

বর্ষায় জলাবদ্ধতার আগাম বার্তা

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

বর্ষায় জলাবদ্ধতার আগাম বার্তা

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) মুরাদপুর থেকে লালখান বাজার পর্যন্ত নির্মাণ করছে ফ্লাইওভার। পক্ষান্তরে ওয়াসা নগরের বিভিন্ন স্থানে সড়ক কেটে স্থাপন করছে পাইপ লাইন। এ দুই সংস্থার চলমান প্রকল্প সংলগ্ন নালা  নর্দমা ও ড্রেনে নির্মাণ সামগ্রী, আবর্জনা এবং মাটি পড়ে পানি চলাচল রুদ্ধ হচ্ছে বলে অভিযোগ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক)। পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় সড়কেই জমছে পানি। তা ছাড়া প্রকল্প এলাকায় নালা নর্দমা ও ড্রেন পরিষ্কার করতে পারছে না বলেও অভিযোগ চসিকের। কিন্তু ওয়াসা ও সিডিএ বলছে, তাদের প্রকল্পের কারণে কোথাও নালা নর্দমা ভরাট হয়নি।       

আগামী বর্ষায় গুরুত্বপূর্ণ এ তিন সংস্থার সমন্বয়হীনতার চরম খেসারত দিতে  হবে বলে শঙ্কা নগরবাসীর। গত ৪ এপ্রিলের সামান্য মৌসুমি বৃষ্টিতেই নগরের প্রধান সড়ক ও বিভিন্ন নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা স্থায়ী হয় তিন ঘণ্টা। ওই দিন ২৪ ঘণ্টায় আবহাওয়া অফিস মাত্র ৩১ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করে। কিন্তু বর্ষা মৌসুমে ৪০ থেকে ৪৫ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। ফলে আগামী বর্ষায় টানা বর্ষণে কী অবস্থা হবে তা নিয়ে চরম শঙ্কা নগরবাসীর।    

ওয়াসার চেয়ারম্যান প্রকৌশলী ফজলুল্লাহ বলেন, বর্তমানে ওয়াসা জাইকার অর্থায়নে সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা এবং বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ১১০০ কোটি টাকার পৃথক দুটি প্রকল্প চলমান। এ দুটি প্রকল্পের কাজ যেখানে হচ্ছে সেখানে জলাবদ্ধতা হয়নি। আর ওয়াসার কাজের কারণে কোনো নালা নর্দমাও ভরাট হয়নি। 

সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী লে: কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, নগরের প্রধান সড়কে ফ্লাইওভার নির্মাণ কাজ চলছে। সেখানে নির্মাণ সামগ্রী রাখায় পানি চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়।

আগামী বর্ষার আগে নালা নর্দমাগুলো পরিষ্কার করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।      

মুরাদপুর-লালখান বাজার ফ্লাইওভার নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান বলেন, ফ্লাইওভারের সঙ্গে নালা নর্দমার কোনো সম্পর্ক নেই। আমরা অনেক আগেই পাইলিংয়ের কাজ শেষ করেছি। কেউ বললে না জেনে-বুঝেই বলছেন। অথচ ফ্লাইওভার সংলগ্ন নালা নর্দমাগুলো আমরা পরিষ্কার করতে দেখি না।

নগরবাসীর অভিযোগ, অতীতে বর্ষা মৌসুমের আগেই চসিক নগরের খাল, নালা নর্দমা, ড্রেন পরিষ্কারের কর্মসূচি নিত। এ বছর আমরা তা দেখতে পাইনি। ফলে নালা নর্দমা ও ড্রেনগুলো এখন প্রায় ভরাট হয়ে গেছে। তা ছাড়া পুরো নগরের পানি নিষ্কাশনের প্রধান দুটি খাল চাক্তাই ও মহেশখাল দিয়ে অতীতের মতো পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না। তাই মৌসুমের অল্প বৃষ্টিতেই পানি জমে পুরো নগর একাকার হয়ে যায়।

সর্বশেষ খবর