মঙ্গলবার, ২৫ এপ্রিল, ২০১৭ ০০:০০ টা

অবৈধ গ্যাস সংযোগ

আফজাল, গাজীপুর সিটি

অবৈধ গ্যাস সংযোগ

গাজীপুরে তিতাস গ্যাস বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ কর্তৃক হাজার হাজার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার ফলে দুর্ভোগে পড়েছে এলাকাবাসী। তিতাস গ্যাস অফিসের কতিপয় দালাল গ্রাহকের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা নিয়ে এসব সংযোগ দেয়। কিছুদিন ব্যবহার করার পর তিতাস গ্যাস অফিস কর্তৃক আবার সংযোগ বিছিন্ন করে। এমনকি গ্রাহকের বিরুদ্ধে থানায় মামলাও করে। এ ঘটনায় গত ৬ অক্টোবর অবৈধ গ্যাস সংযোগ বৈধ করার দাবিতে গাজীপুর উন্নয়ন কমিটির উদ্যোগে গাজীপুর ডিসি অফিসের সামনে এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। এলাকাবাসী গ্যাস সংযোগ প্রদানকারী দালালচক্রের শাস্তি ও সংযোগ বৈধ করার দাবি জানিয়েছে। তিতাস গ্যাস অফিসের একটি দালাল চক্রের যোগসাজশে রাতের আঁধারে এসব গ্যাস লাইন স্থাপন করে লাখ লাখ টাকার বাণিজ্য হয়। কিছুদিন ব্যবহারের পর গ্যাস কর্তৃপক্ষ বেশ কয়েকটি অভিযান চালিয়ে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় কয়েক হাজার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে। অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহারের কারণে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ শত শত গ্রাহকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করে। এতে গ্রেফতার আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন গ্রাহকরা। গ্যাসের অবৈধ সংযোগকে বৈধ করে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে দালাল চক্রের সদস্যরা গ্রাহক প্রতি ৪০-৭০ হাজার টাকার বিনিময়ে গ্যাস সংযোগ দেয়। এর মধ্যে গাজীপুরের বড়বাড়ী, গাছা, বোর্ড বাজার, বাসন, ছয়দানা, মালেকের বাড়ি, গাজীপুর সদর, কালিয়াকৈর, সালনা, শ্রীপুর, পূবাইলের হায়দরাবাদ, মীরের বাজার, তালুটিয়া, মাজুখান, হারবাইদ ও টঙ্গীর ভাদাম, তিলারগাতী, দেওড়া, আউচপাড়া, সাতাইশ, গাজীপুরা, এরশাদনগর, দত্তপাড়া, মরকুন, শিলমুন, আরিচপুরসহ আশপাশে হাজার হাজার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিছিন্ন করে। এ বিষয়ে মুদাফা, মিরের বাজার, পূবাইল এলাকার কয়েকজন গ্রাহক জানান, ঠিকাদারের মাধ্যমে ৪০-৭০ হাজার টাকা দিয়ে আমরা গ্যাস সংযোগ নেই। এখন গ্যাস কর্তৃপক্ষ আমাদের সংযোগ কেটে দেওয়ায় আমরা গ্যাসের অভাবে রান্নাবান্না করতে না পেরে দুর্ভোগে পড়েছি। এ ব্যাপারে তিতাস গ্যাস টঙ্গী জোনের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী অজিত চন্দ দেব বলেন, সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক আমরা অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছি। এ ছাড়া অবৈধ ব্যবহারকারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছি। আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তিতাস গ্যাস গাজীপুর সদর জোনের ব্যবস্থাপক মো. সাব্বির আহমেদ তিতাস গ্যাস অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যোগসাজশে অবৈধ গ্যাস সংযোগের কথা অস্বীকার করে বলেন, রাতের আঁধারে যারা অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিয়েছে তারা লাইসেন্সধারী ঠিকাদার নয়। এ ব্যাপারে স্থানীয় এমপি জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহার করা ঠিক নয়। যদি কোথাও অবৈধ লাইন থাকে তাদের বৈধ করে দেওয়া হলে সরকার রাজস্ব পাবে সাধারণ মানুষও উপকৃত হবে। বর্তমানে আবাসিক গ্যাস সংযোগ বন্ধ রয়েছে। পরবর্তীতে আবার আবাসিক গ্যাস সংযোগ চালু হলে তখন সবাই গ্যাস পাবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর