মঙ্গলবার, ২৩ মে, ২০১৭ ০০:০০ টা

থমকে গেছে সিটি সেন্টার স্বপ্নচূড়া ও দারুচিনি প্লাজা

কাজী শাহেদ, রাজশাহী

থমকে গেছে সিটি সেন্টার স্বপ্নচূড়া ও দারুচিনি প্লাজা

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের তিনটি বহুতল বাণিজ্যিক ভবন সিটি সেন্টার, দারুচিনি ও স্বপ্নচূড়া প্লাজা নির্মাণ কাজ মাঝপথে আটকে আছে। এ নিয়ে দফায় দফায় চিঠি দিয়েই দায়িত্ব শেষ করছে সিটি করপোরেশন। সোনাদীঘির মোড়ে সিটি করপোরেশনের পুরনো ভবনের জায়গায় নির্মাণাধীন সিটি সেন্টার ১৬তলা হওয়ার কথা। দারুচিনি প্লাজা নির্মিত হচ্ছে নিউমার্কেটের পাশে এবং স্বপ্নচূড়া হচ্ছে নগর ভবনের পাশে। এ দুটি ভবন আটতলা করে হওয়ার কথা। বিশাল কাঠামো তৈরি হলেও কাজ শেষের কোনো অগ্রগতি নেই।

জানা যায়, সিটি সেন্টারের নির্মাণকাজ উদ্বোধন হয় ২০০৯ সালের অক্টোবরে। ৩৬ মাসে এর নির্মাণকাজ শেষ করার কথা। তবে গত সাত বছরেও এই ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ হচ্ছে না। রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের এমপি এনামুল হকের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান এনা প্রপার্টিজ এটি নির্মাণ করছে। অপর দুটি ভবন নির্মাণের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান শামসুজ্জামান জেভি। এ দুটির কাজও প্রায় একই সময়ে শুরু হয় এবং নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা ২৪ মাসে। তবে কোনোটিই আলোর মুখ দেখেনি ৭২ মাসেও।

সূত্র জানায়, চুক্তি অনুযায়ী সিটি সেন্টার ভাড়া দেওয়ার কথা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানকে। এতে শপিং মল, ব্যাংক, সিনেপ্লেক্স, রেস্তোরাঁ ইত্যাদি থাকবে। চুক্তি অনুযায়ী সিটি সেন্টারের পাশে মসজিদ, হাঁটার পথ, আইটি লাইব্রেরি এবং সোনাদীঘির পাড়ের বর্তমান দোকানগুলোর পুনর্বাসনের কাজও করার কথা এনা প্রপার্টিজের। এ ছাড়া ৩১ কাঠা জমির ওপর নির্মাণাধীন স্বপ্নচূড়া প্লাজা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানকে ভাড়া দেওয়া হবে এবং ৬৭ দশমিক ৫ কাঠা জমির ওপর নির্মাণাধীন দারুচিনি প্লাজায় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি কিছু অ্যাপার্টমেন্ট থাকবে। এসব ভবন নির্মাণ কাজ শুরু হলেও সবকটি মাঝপথে আটকে আছে।

এসব ভবনে ব্যবসার আশায় অর্থলগ্নি করে চরম বিপাকে পড়েছেন অনেকে। অনেকে আগাম টাকা দিয়ে বুকিং দিয়েছেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তাদের বুঝিয়ে দেওয়ার কথা থাকলেও প্রায় ছয় বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেছে। সিটি করপোরেশন কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন অর্থলগ্নিকারীরা। বিভিন্ন কর্মসূচিও পালন করা হয়েছে। সর্বশেষ গত ৩০ এপ্রিল রাজশাহী নগরীর সাহেববাজার জিরো পয়েন্টে বিশাল মানববন্ধন ও সমাবেশ থেকে বিভিন্ন দাবি করেন রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের নেতৃবৃন্দ। এতে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ অংশ নেন।

সিটি মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল জানান, নগরীর এ তিনটি ভবন নিয়ে এখন অনেকটা বিপাকে আছে সিটি করপোরেশন। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদাররা চুক্তি অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করতে ব্যর্থ হয়েছেন। সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে কয়েক দফা চিঠি দিয়ে কাজ সম্পন্ন করার তাগিদ দেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ খবর