মঙ্গলবার, ২৩ মে, ২০১৭ ০০:০০ টা

দ্বন্দ্বে বন্ধ স্কুল, বিপাকে শিক্ষার্থীরা

আলী রিয়াজ

দ্বন্দ্বের কারণে বন্ধ হতে চলেছে রাজধানীর একটি স্কুল। ফলে সহস্রাধিক শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা। বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটি ও প্রধান শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে দ্বন্দ্বের কারণে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। টানা দুই সপ্তাহ শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ছিল। অভিযোগ রয়েছে চার কোটি টাকা ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে বিদ্যালয়ের এই দ্বন্দ্বের সূত্রপাত। বিষয়টি নিয়ে অভিভাবকরা শিক্ষা অধিদফতরে অভিযোগ করার পরও কোনো সমাধান হয়নি।

জানা গেছে, কদমতলী থানার সালাউদ্দিন আহমেদ উচ্চ বিদ্যালয় ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। কয়েক বছরে বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থী সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে যায়। কিন্তু গত এক বছর বিদ্যালয়ের কমিটি ও প্রধান শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে শিক্ষা কার্যক্রম প্রায় বন্ধ রয়েছে। গত মাসে টানা দুই সপ্তাহ বিদ্যালয়ে কোনো ক্লাস নেননি শিক্ষকরা। বিদ্যালয়ের একটি ভবন তৈরিতে চার কোটি টাকা বরাদ্দ হওয়ার পর থেকে এই দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। বাজেট বরাদ্দ হওয়ার পর প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমানকে কোনো কারণ দর্শানো ছাড়াই দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে কামাল হোসেন নামে একজনকে নিয়োগ দেওয়া হয় ২০১৬ সালের নভেম্বরে। কামাল হোসেন প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়ে কোনো ঘোষণা ছাড়া বিদ্যালয়ের কমিটি নির্বাচন করেন। অ্যাডভোকেট মতিউর রহমানকে সভাপতি হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত করা হয়। এতে অভিভাবকদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়। তিনি নির্বাচিত হওয়ার পর বিদ্যালয়ের ভবন তৈরির কার্যক্রম শুরু করেন। পুরো কার্যক্রমে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ এনে অভিভাবকরা শিক্ষা অধিদফতরে আবেদন করেন। অধিদফতর তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে ওই কমিটি বাতিল করে দেয়।

এরপর প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেনের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করে শিক্ষা অধিদফতরের তদন্ত কমিটি। পরে সহকারী প্রধান শিক্ষক শামিম হোসেনকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক করা হয়। অন্যসব শিক্ষক এর বিরোধিতা করে ক্লাস বর্জন করেন। বিদ্যালয়ে নিয়মিত কোনো ক্লাস এখনো হচ্ছে না।

স্থানীয় এমপি সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা বলেন, বিদ্যালয়ের কার্যক্রম ভালোভাবে চলুক এটা আমি চাই। কিন্তু একটি মহল এটা দখল করতে চাচ্ছে। তারা কোনো কার্যক্রম চালাতে দিচ্ছে না।

বিএনপি নেতা ও সাবেক এমপি সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমার প্রতিষ্ঠিত স্কুল আমি ভালোভাবে চলুক এটাই চাই। কিন্তু এখানে ভবন তৈরির জন্য একটি বরাদ্দ এসেছে এর ভাগ কে নেবে তাই নিয়ে দুই এমপি দখল করতে চাচ্ছে। আমার এখন কোনো ক্ষমতা নেই। তাই এখানে কোনো ধরনের সংশ্লিষ্ট থাকার সুযোগ নেই।’

সর্বশেষ খবর