মঙ্গলবার, ২৩ মে, ২০১৭ ০০:০০ টা

নানা উদ্যোগেও বর্জ্যমুক্ত হচ্ছে না

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

নানা উদ্যোগেও বর্জ্যমুক্ত হচ্ছে না

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নগরকে গ্রিন ও ক্লিন করতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে। ৪১টি ওয়ার্ডে বিতরণ করা হয় ১০ লাখ বিন। নিয়োগ দেওয়া হয় ১৯০০ পরিচ্ছন্ন কর্মী। মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ হচ্ছে। এ কাজে ব্যয় হচ্ছে ৩০ কোটি টাকা। তবুও এর পূর্ণাঙ্গ সুফল পাচ্ছে না নগরবাসী। এখনো সড়কে, ডাস্টবিনের পাশে, অলি-গলিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে আবর্জনা। দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে এলাকায়।    

অভিযোগ আছে, চসিক মেয়র গ্রিন সিটি করতে প্রাণান্তকর চেষ্টা চালিয়ে গেলেও একটি অসাধু চক্র এ উদ্যোগ সফল হওয়ার ক্ষেত্রে নানাভাবে অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। অতীতে ওয়ার্ডভিত্তিক কাউন্সিলরদের তত্ত্বাবধানে ভ্যান গাড়ি দিয়ে বাসা থেকে বর্জ্য সংগ্রহ করা হতো। কিন্তু ১ জানুয়ারি থেকে ‘ডোর টু ডোর’ পদ্ধতি চালুর পর সরাসরি চসিকের নিয়োগপ্রাপ্ত পরিচ্ছন্ন কর্মী বর্জ্য অপসারণ করছে।  

চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, গ্রিন-ক্লিন সিটি গড়তে আমি কারও কাছ থেকে কোনো অভিযোগ ও অনিয়মের কথা শুনতে চাই না। বর্জ্যমুক্ত নগর গড়া আমার অন্যতম চ্যালেঞ্জ। ফলে এ ব্যাপারে কাউকে কোনো প্রকার ছাড় নয়। আমি স্পষ্ট বলে দিয়েছি, বর্জ্য অপসারণ কাজে কোনো অভিযোগ-অনিয়মের কথা শুনলেই তাত্ক্ষণিক ব্যবস্থা। তিনি বলেন, নগরে আর কোনো ডাস্টবিন থাকবে না। খোলা ডাস্টবিনে আবর্জনা ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে। ফলে পরিবেশ নষ্ট হয়। ইতিমধ্যে নগরের অনেক ওয়ার্ডের ডাস্টবিন তুলে ফেলা হয়েছে, বাকিগুলো তুলে ফেলা হবে। বর্জ্য অপসারণকর্মীরা বাসা থেকে সরাসরি বর্জ্য গাড়িতে তুলে ফেলবে। 

জানা যায়, গত ১ জানুয়ারি থেকে প্রথম দফায় তিন ওয়ার্ডে ‘ডোর টু ডোর’ কার্যক্রম শুরু হয়। দ্বিতীয় দফায় ১৬ জানুয়ারি থেকে ১০ ওয়ার্ডে, ১ ফেব্রুয়ারি  থেকে ১০ ওয়ার্ডে, ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ১০ ওয়ার্ডে, ১-৩১ মার্চের মধ্যে ৪১ ওয়ার্ডে পূর্ণাঙ্গ ডোর টু ডোর বর্জ্য সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু হয়।

সর্বশেষ খবর