মঙ্গলবার, ৩০ মে, ২০১৭ ০০:০০ টা

ভরাট-দূষণমুক্ত হচ্ছে ত্রিপুরা ও সদর খাল

সাইদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম

ভরাট-দূষণমুক্ত হচ্ছে ত্রিপুরা ও সদর খাল

পশ্চিম ষোলশহর ওয়ার্ডে ভরাট ত্রিপুরা খালের খননের কাজ চলছে। ছবি : দিদারুল আলম

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) ৭নং পশ্চিম ষোলশহর ওয়ার্ড। বর্ষা মৌসুমে এই ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের নিত্যসঙ্গী জলাবদ্ধতা। দখল, ভরাট ও দূষণে ত্রাহি অবস্থা সদর খাল ও ত্রিপুরা খালের। এ দুটি খাল দিয়ে পানি প্রবাহিত হতে না পারায় জলাবদ্ধতার কবলে পড়তে হয় স্থানীয়দের। নিত্যভোগান্তি ওয়ার্ডের প্রায় চার লাখ বাসিন্দার। তবে এবার চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের নির্দেশনায় চসিকের উদ্যোগে এ খাল দুটি খননের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে খাল খননের প্রায় ৭০ শতাংশ কাজ শেষ। আগামী বর্ষা মৌসুমে স্থানীয়রা এর সুফল পাবে বলে জানান স্থানীয় পশ্চিম ষোলশহর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোবারক আলী। ওয়ার্ডের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম ও তাহের আহমেদ বলেন, খাল দুটি সংস্কার হলে জলাবদ্ধতা কমবে। একই সঙ্গে ত্রিপুরা খালের পাশের সড়ক ও প্রতিরোধ দেয়াল নির্মাণ হলে এলাকার মানুষ নানা সমস্যা থেকে মুক্তি পাবে। ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোবারক আলী বলেন, ত্রিপুরা ও সদর খাল খনন শেষ পর্যায়ে। এ দুটি খালের সঙ্গে প্রধান খালের সংযোগ হলে পানি দ্রুত নেমে যাবে। আগামী বর্ষা মৌসুমে এই ওয়ার্ডে জলাবদ্ধতা থাকবে না। তাছাড়া পার্শ্ববর্তী মির্জাপুল খালটিও সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে। চসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) সুদীপ বসাক বলেন, চসিক এবার খাল খননে পুরোদমে মাঠে নেমেছে। পশ্চিম ষোলশহর ওয়ার্ডের গুরুত্বপূর্ণ দুটি খালও খনন করা হচ্ছে। বর্ষার আগেই এ কাজ শেষ হবে।

সরেজমিন দেখা যায়, প্রবল বর্ষণে ত্রিপুরা খালে পাহাড়ি পানি ও বালি নেমে ভরাট হয়ে যায়। এ পানি পাহাড় থেকে কুঞ্জুছায়া, সাংবাদিক সোসাইটির সমবায় আবাসিক এলাকা হয়ে আমিন জুট মিলের হামজারপাড়া ও সমশেরপাড়া এলাকার হাজী খালের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ত্রিপুরা খালটি। একইভাবে সদর খালটি হিলভিউ হাউজিং সোসাইটি হয়ে নাজিরপাড়া ও হিন্দুপাড়ায় শেষ হয়। এ খাল দুটির সঙ্গে সংযুক্ত আছে ওয়ার্ডের অপরাপর ছোট খালগুলো। স্থানীয়দের অভিযোগ, একশ্রেণির দখলদার দুটি খালের অনেক স্থানে দখল করেছে। অনেক স্থান আবর্জনা ও মাটিতে ভরাট হয়ে গেছে। ফলে খাল দুটি দিয়ে পানি চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

গৃহস্থালি বর্জ্যের কারণে খাল দুটির পানি বিষাক্ত। বর্তমানে ত্রিপুরা ও সদর খালের উন্নয়ন কাজের কারণে কিছুটা পরিবর্তন হচ্ছে। এ খাল দুটির সংস্কার কাজের পাশাপাশি শাখা খালগুলোও সংস্কার হলে ওয়ার্ডবাসী জলাবদ্ধতামুক্ত হতে পারবে বলে জানান ভুক্তভোগীরা।

সর্বশেষ খবর