মঙ্গলবার, ২৫ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা

সিটি পশুহাট রাসিকের ভাগাড়

কাজী শাহেদ, রাজশাহী


সিটি পশুহাট রাসিকের ভাগাড়

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) অব্যস্থাপনায় জর্জরিত সিটি পশুহাট। রাসিকের বর্জ্যে এখন হাটটি ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। ফলে দুর্গন্ধে টিকতে পারছেন না ক্রেতা-বিক্রেতারা। শুধু এ বর্জ্যের কারণে সুনাম নষ্ট হচ্ছে এ অঞ্চলের সবচেয়ে বড় পশুহাটের। আসছে ঈদে কেনাবেচা নিয়ে শঙ্কায় আছে হাট কর্তৃপক্ষ।

সপ্তাহের প্রতি রবি ও বুধবার হাট বসে। তবে কোরবানি ঈদ সামনে রেখে প্রায় প্রতিদিনই বসছে এ হাট। প্রতিদিনই কমবেশি বেচাকেনা হয়। কিন্তু রাত-দিন হাটের রাস্তার দুই পাশে নগরীর বর্জ্য ফেলছে সিটি করপোরেশন।

পচা দুর্গন্ধ ছড়িয়েছে পুরো এলাকায়। এতে হাটে পশুর আমদানি কমে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। কমবেশি আর্থিক ক্ষতির শিকার হচ্ছেন সবাই। সিটি হাটের ইজারাদার আতিকুর রহমান কালু জানান, রাস্তার ওপর বর্জ্য ফেলার বিষয়ে নগর কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার তাগিদ দিচ্ছেন। কিন্তু তারা কথা শুনছেন না। তিনি আরও বলেন, সিটি করপোরেশনের ময়লায় এখন হাটের বেহাল অবস্থা। সেই সঙ্গে বৃষ্টিপাতে যোগ হয়েছে আরেক বিড়ম্বনা। বর্জ্যে পুরো হাট দূষিত হয়ে গেছে। রাস্তার দুই ধারে ফেলা বর্জ্য উঠে এসেছে রাস্তায়। এখন পা ফেলারও জায়গা নেই। চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে পচা দুর্গন্ধ। খাবারের হোটেলগুলো বন্ধ হওয়ার উপক্রম। এ ছাড়া ময়লা সরানোর গাড়ি আনা-নেওয়ার ফলে ভেঙে গেছে রাস্তাটি। এ পরিস্থিতি চলতে থাকলে আসছে কোরবানি ঈদে জমবে না হাট। মোটা অঙ্কের লোকসান গুনতে হবে তাদের।

সরেজমিন দেখা গেছে, সিটি হাটে এক পাশে রাসিকের বর্জ্য ফেলার ভাগাড়। তারপরও হাটের রাস্তার দুই ধারে নগরীর সব ধরনের বর্জ্য ফেলছে রাসিক। দুই পাশ ছাপিয়ে বর্জ্য এখন রাস্তায়। আবর্জনার স্তূপ হয়েছে হাটের অফিস ঘর পর্যন্ত। বর্জ্যে বন্ধ হয়ে গেছে হাটের পানি নিষ্কাশনের নালাও। পানি জমে ছড়াচ্ছে মারাত্মক দূষণ। পচা দুর্গন্ধে আশপাশে দাঁড়ানো যাচ্ছে না। হাটে আসা ক্রেতা দূরের কথা আশপাশ এলাকায় টিকতে পারছে না লোকজন।

হাটের ইজারাদার ফারুক হোসেন ডাবলু বলেন, প্রায় ১৫ দিন ধরে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তারা সিটি করপোরেশনকে বিষয়টি বার বার বললেও কর্তৃপক্ষ তেমন উদ্যোগ নিচ্ছে না। সামনে ঈদুল আজহা। উত্তরবঙ্গের বৃহৎ এই হাটে পশু কিনতে আসে দেশের বিভিন্ন জেলার মানুষ। কিন্তু হাটের এই পরিস্থিতি থাকলে মানুষ এখানে পশু কিনতে বা বিক্রি করতে আসবে না। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রাস্তা থেকে বর্জ্যগুলো সরিয়ে নেওয়ার জন্য তারা রাসিকের কাছে দাবি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে রাসিক পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ মামুন ডলার বলেন, সিটি হাটের ভিতরে নয়-রাস্তায় তারা বর্জ্য ফেলছেন। এটি সাময়িক। বর্ষায় রাস্তা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ভাগাড়ে ময়লাবাহী গাড়িগুলো যেতে পারছে না। ফলে রাস্তার দুই পাশে ময়লা ফেলা হচ্ছে। তা ছাড়া ময়লা সরানোর কাজে ব্যবহত এক্সেভেটর, চেন ডোজার নষ্ট হয়ে আছে। ফলে তারা ময়লাগুলো সরাতে পারছে না।

সর্বশেষ খবর