মঙ্গলবার, ১ আগস্ট, ২০১৭ ০০:০০ টা

মিরপুরে ভোগান্তি

জিন্নাতুন নূর

মিরপুরে ভোগান্তি

মিরপুর-১২ নম্বর বাসস্ট্যান্ডের সামনে গত কয়েক মাস ধরে মেট্রোরেল প্রকল্পের জন্য প্রধান সড়কে খোঁড়াখুঁড়ির কাজ চলছে। এতে করে একদিকে সেই এলাকার রাস্তাঘাটে স্বাভাবিক যান চলাচলে যেমন বিঘ্ন ঘটছে, অন্যদিকে বৃষ্টির কারণে স্থানে স্থানে বড় বড় গর্ত তৈরি হওয়ায় জলাবদ্ধতায় পথচারীদেরও তীব্র ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।

সম্প্রতি সরেজমিন মিরপুর এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, টানা বৃষ্টিতে মিরপুরের কালশী এলাকায় পুরো সড়কই ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এই বর্ষায় ড্রেনের ও বৃষ্টির পানি মিলে সড়কটিতে কখনো কোমর সমান আবার কখনো হাঁটু সমান পানি জমছে। আর এর মধ্যেই পথচারী ও যানবাহনগুলো ধীর গতিতে চলাচল করছে। গতকাল দেখা যায়, কালশী কবরস্থানের কিছুদূর সামনেই বৃষ্টির মধ্যে সড়ক বিভাজন মেরামতের কাজ চলছে। এজন্য সিমেন্ট, বালু, ইট, সুরকি ইত্যাদি সড়কের মাঝখানে রেখেই কাজ করছেন শ্রমিকরা। একে তো জলাবদ্ধতা, তার ওপর এই নির্মাণসামগ্রী রাস্তার ওপর রাখায় সেই এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। অন্যদিকে বৃষ্টির পানির সঙ্গে বালু, সিমেন্ট মিশে একাকার হয়ে যান চলাচলেও প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়।

মিরপুর সাড়ে এগারো বাসস্ট্যান্ড থেকে দুয়ারীপাড়ার দিকে যাওয়ার পথেও রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির দৃশ্য দেখা যায়। রাস্তার এক পাশে সেবাদানকারী বিভিন্ন সংস্থার খোঁড়াখুঁড়িতে যেমন রাস্তার আয়তন কমে গেছে, অন্যদিকে বৃষ্টি ও কাদা পানির ফলে সে এলাকার পথচারীদের চলাচলেও বেশ সমস্যা হচ্ছে।

জানতে চাইলে পল্লবী আবাসিক এলাকার বাসিন্দা সামিন হাসান বলেন, প্রথমে মেট্রোরেলের খোঁড়াখুঁড়ি, এরপর সিটি করপোরেশনের ওয়াকওয়ে নির্মাণ কাজ, শেষে আবার ওয়াসার লাইনের খোঁড়াখুঁড়ি। এত খোঁড়াখুঁড়ির ফলে পথচারীদের পক্ষে এখন রাস্তায় হাঁটা কঠিন হয়ে পড়েছে।

রূপনগরের আরেক বাসিন্দা রহিমা আক্তার জানান, এলাকায় বিভিন্ন রাস্তার খোঁড়াখুঁড়ির ফলে মেয়েকে স্কুলে নিয়ে যেতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। তার মেয়ে প্রায়ই দিন নির্ধারিত সময়ের পর স্কুলে পৌঁছায়। আর বৃষ্টির কারণে কাদা পানিতে এই ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে বলে বাংলাদেশ প্রতিদিনের কাছে রহিমা অভিযোগ করেন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর