শিরোনাম
মঙ্গলবার, ৮ আগস্ট, ২০১৭ ০০:০০ টা

পূর্বাচল ফুড কোর্টের নতুন ঠিকানা

জিন্নাতুন নূর

পূর্বাচল ফুড কোর্টের নতুন ঠিকানা

আদনান, রনি, সিয়াম, তানিশা ও নিশিতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া পাঁচ বন্ধুর একটি দল। ক্লাস শেষেই পূর্বাচল ৩০০ ফুট রোডের ফুড কোর্টের দোকানে যাওয়া ছিল তাদের রুটিন কাজ। আড্ডা, গান, বন্ধুর জন্মদিন পালন— বাহানা যাই হোক না কেন সেখানকার কাজীস ফুড কোর্টের পটেটো ওয়েজেস আর কোল্ড কফির স্বাদ না নিয়ে বাড়ি ফিরত না তারা। এই তরুণদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সুন্দর স্মৃতিগুলো জড়িয়ে আছে এখানকার ফুড কোর্টের সঙ্গে। কিন্তু পূর্বাচলে রাজউকের খাল দখলমুক্ত করার কর্মসূচির জন্য সম্প্রতি চূড়ান্তভাবে ৩০০ ফুটের প্রায় শতাধিক খাবারের দোকান উচ্ছেদ করা হয়। এতে আদনানরা যেমন তাদের প্রিয় স্থানটি হারিয়েছে একইভাবে হতাশ এখানে আসা অন্য গ্রাহকরাও। ফেসবুকের জনপ্রিয় পেজ ফুডব্যাংকে এই ফুড কোর্টের নিয়মিত গ্রাহকরা এজন্য অসন্তোষ প্রকাশ করে পোস্টও দিয়েছেন। মূলত খোলা জায়গায় তুলনামূলক কম দামে খাবার বিক্রি হওয়ায় বসুন্ধরা আবাসিক এবং এর পাশপাশের এলাকা ও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দ্রুত জনপ্রিয়তা পায় ৩০০ ফুটের ফুড কোর্ট। সুস্বাদু ও টাটকা খাবারের জন্য দূর থেকেও মানুষ এখানে খেতে আসতেন। সাধারণ দিন ছাড়াও ছুটির দিনে জমজমাট থাকত স্থানটি।

শিক্ষিত বেকার যুবকরা এই দোকানগুলো চালিয়ে সাবলম্বী হওয়ার চেষ্টা করছিলেন। ব্যবসা ভালো চললেও সুখ তাদের কপালে জুটল না। তবে হার মানার পাত্র নন তারাও। আবার নতুন করে শুরু করেছেন ফুড কোর্টের যাত্রা। এবার ঠিকানা রাজধানীর উত্তরা ও কালশী। এই দোকানগুলোর মালিকদের মধ্যে কাজী ফারহান, মাসকুর সারিয়া পুনম ও ফুয়াদ সানামরা মিলে গড়ে তুলছেন কাজী এসপারাগাস নামের নতুন ফুড কোর্ট। এসপারাগাসের চেয়ারম্যান ফুয়াদ বলেন, ৩০০ ফুট রাস্তার প্রধান সড়কের পাশে ভাড়া করা জায়গায় আমরা কয়েকজন যুবক দেশে প্রথমবারের মতো ওপেন এয়ার ফুড কোর্ট শুরু করি। এ ধরনের ব্যবস্থা সাধারণত মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরে দেখা যায়। কম দামে লাইভ কিচেন থেকে টাটকা খাবার পরিবেশন করাই ছিল আমাদের ব্যবসার মূল উদ্দেশ্য। কিন্তু হঠাৎ করে সরকারি সিদ্ধান্তে বেসরকারি উদ্যোগে পরিচালিত আমাদের ব্যবসা বন্ধ হয়ে যায়। অথচ এই ব্যবসার সঙ্গে হাজার হাজার মানুষের ভাগ্য জড়িত। বর্তমানে আমরা নতুন করে ব্যবসা শুরু করার জন্য উত্তরা ও কালশীতে দুটি ফুড কোর্টের কাজ করছি। আশা করি শিগগিরই আবার আমাদের গ্রাকদের সেবা দিতে পারব। এরই মধ্যে কালশীতে পুরোদমে শুরু হয়েছে ফুড কোর্ট নির্মাণের কাজ। নতুন ফুড কোর্টের একেকটি দোকানের পজিশিন মূল্য ৬ লাখ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি মাসে ভাড়া ৩০ হাজার টাকা। এখানে থাকবে মোট ৪০টি দোকান। নতুন এই ফুড কোর্টে আরও থাকছে শিশুদের খেলার স্থান, কার পার্কিংয়ের ব্যবস্থা, লাইভ মিউজিকসহ আকর্ষণীয় সাজসজ্জা।

সর্বশেষ খবর