মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

খুলনায় ভাঙা সড়কে দুর্ভোগ

সামছুজ্জামান শাহীন, খুলনা

খুলনায় ভাঙা সড়কে দুর্ভোগ

খুলনায় সেবামূলক প্রতিষ্ঠানগুলোর সমন্বয়হীনতায় সড়কে খোঁড়াখুঁড়িতে নগরবাসীর দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। দীর্ঘদিনেও নগরীর ভিতরে ওয়াসার খুঁড়ে রাখা সড়কগুলো সংস্কার হয়নি। তার ওপর ভারি বৃষ্টিতে নগরীর প্রধান সড়ক ও গলিপথের অধিকাংশ এলাকার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে অসংখ্য খানাখন্দে ভরা সড়কে যানবাহন চলাচল অসম্ভব হয়ে পড়েছে। দিন-রাত লেগে থাকছে যানজট, ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। খুলনা সিটি করপোরেশনের হিসাব মতে, ভারি বর্ষণে খুলনার প্রধান সড়কগুলোর ৫২ কিলোমিটার এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ওয়াসা খুঁড়ে রেখেছে নগরীর ভিতরের ২৪ কিলোমিটার সড়ক। সরেজমিন দেখা যায়, নগরীর ব্যস্ততম খানজাহান আলী রোডের সিটি কলেজ মোড় থেকে রূপসা পর্যন্ত সড়কটির বড় অংশ খানাখন্দে ভরে আছে। সড়কের বুক ফেঁড়ে বিশাল আকৃতির গর্ত করে পানির পাইপ বসানোর পর তা কার্পেটিং করা হয়নি। গর্ত ভরাট করতে দেওয়া হয়েছে ইটের সলিং (হেরিংবন্ড) ও খোয়া। এতে পরিস্থিতি আরও নাজুক হয়েছে। নগরীর শুধু এ সড়কটিই নয়, বয়রা থেকে সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনাল, ফারাজিপাড়া, মজিদ সরণি, শামসুর রহমান সড়ক, খালিশপুর হাউজিং এলাকা, টুটপাড়া বাইপাস সড়ক, রূপসা ট্রাফিক মোড় থেকে শিপইয়ার্ড পর্যন্ত সড়কও খোঁড়াখুঁড়ির কারণে উঁচু-নিচু ও অসংখ্য গর্তে ভরে গেছে। নাগরিক নেতা জনউদ্যোগ, খুলনার আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট কুদরত-ই খুদা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানিয়েছেন, ভাঙাচোরা সড়কে হেলেদুলে চলছে ছোটবড় সব যানবাহন। কোথাও ইট সরে গিয়ে বেরিয়ে পড়েছে বড় বড় গর্ত। প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা। খুলনার সড়ক এখন ‘মরণ ফাঁদ’ হিসেবে দেখা দিয়েছে। আর খুলনা ওয়াসার প্রকল্প পরিচালক, এমডি কামাল উদ্দিন আহমেদ, মহানগরীর বাড়িতে বাড়িতে ওয়াসার পানি সরবরাহের জন্য ‘ডিস্ট্রিবিউশন পাইপ  নেটওয়ার্ক’ প্রকল্পের আওতায় বর্তমানে নগরীতে প্রায় ৬৫০ কিলোমিটার পানির পাইপ বসানোর কাজ চলমান রয়েছে। পরিকল্পিতভাবে সড়কে গর্ত করে পাইপ বসানোর পর তা সংস্কার করে দেওয়া হচ্ছে।

 

সর্বশেষ খবর